করোনার বাড়বাড়ন্তের কথা ভেবে বিধানসভা ভোটের কয়েকটি দফা স্থগিত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু তাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যেত। সাংবিধানিক যে পদক্ষেপ কমিশনের নিরপেক্ষতার বিপক্ষে যেত। সম্প্রতি এমন দাবি করেছেন কমিশন বেঞ্চের অন্যতম সদস্য রাজীব কুমার। তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা কমিশনের হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মত বিরুদ্ধে যাওয়ায়, সেটা মাদ্রাজ হাইকোর্টে দাখিল হয়নি। এমনটাই সুত্রের খবর।
তিনি সেই খসড়ায় লিখেছিলেন, এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হত। যদিও বঙ্গ ভোটের শেষ কয়েকটি দফা একসঙ্গে করার ভাবনা নিয়েছিল কমিশন। কিন্তু সংবিধানে পরিসর না থাকায় সেই পথে হাঁটা যায়নি। এমনটাও খসড়ায় উল্লেখ করেছেন কুমার। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-র ৩০ ধারায় বলা প্রতি দফার জন্য পৃথক নোটিফিকেশন জারি করতে হবে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে বাংলায় লাগু হয়ে গিয়েছিল।
তবে, সপ্তম এবং অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করা যেত, কারণ দুটি ভোটের নোটিফিকেশন ৩১ মার্চ জারি হয়েছিল। ২৬-২৯ এপ্রিল কোনও ভোট প্রচার হয়নি। কারণ ভোট গ্রহণের আগে প্রচার শেষ করার সময়সীমা ৪৮ থেকে বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করা হয়েছিল।
শুক্রবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবর করেছিল, দুই জনের মধ্যে এক নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। মাদ্রাজ হাইকোর্টে ভোটগ্রহণ নিয়ে কমিশনের অবস্থানের নিন্দা হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত।