ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ফের কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২১ জুলাই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে ২৩ জুন সনিয়াকে তলব করেছিলেন ইডি কর্তারা। কিন্তু, সদ্য করোনামুক্ত কংগ্রেস সভানেত্রী আরও সময় চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। এরপরই তাঁকে ২১ জুলাই হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের তহবিল তছরুপ-কাণ্ডে সনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবার ইডির তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
করোনার পর চিকিৎসকরা কংগ্রেস সভানেত্রীকে বলেছিলেন, 'করোনায় বুকে সংক্রমণ হয়েছে। তাই পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামের প্রয়োজন।' ২৩-এর আগে ৮ জুন কংগ্রেস সভানেত্রীকে হাজিরার নোটিস দিয়েছিল ইডি। কিন্তু, ততদিনের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সনিয়া গান্ধী। তিনি তখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই কারণে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই গান্ধী পরিবারের তরফে ইডি কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়।
সনিয়ার সঙ্গেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠেছে রাহুল গান্ধীর। সনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার মধ্যেই গোয়েন্দারা তাঁকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পাঁচ দিন ধরে প্রায় ৫০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। কারণ, কংগ্রেসের তরফে রাহুল এবং সনিয়া গান্ধী ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার অন্যতম শেয়ার হোল্ডার। সনিয়া এবং রাহুল গান্ধীর ৩৮ শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থায়। এই সংস্থাই ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র চালায়।
আরও পড়ুন- শীঘ্রই তৈরি হবে সর্বদলীয় সরকার, শ্রীলঙ্কায় ২০ জুলাই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন
এই তহবিল তছরুপ মামলায় গতবছর নতুন করে একটি মামলা দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কারণ, নিম্ন আদালত তহবিল তছরুপ মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার বিরুদ্ধে আয়কর দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। ২০১৩ সালে বিজেপির আইনজীবী নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। স্বামীর অভিযোগ ছিল, গান্ধী পরিবারের লোকজনই এই তহবিল তছরুপ-কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। স্বামীর অভিযোগ, মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে গান্ধী পরিবার অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড সংস্থার ৯০.২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে।
Read full story in English