অতীতে বহুবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে দু'ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার জেরে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে 'প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি' করার অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। মোদী সরকার বিরোধীদের শত্রুর চোখে দেখছে বলেই দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বছর ৭৫-এর কংগ্রেস সভানেত্রীকে দু'ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির কর্তারা। এরপরই সরব হন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের সঙ্গে সুর মেলায় অন্যান্য বিরোধী দলও। যৌথ বিবৃতিতে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, ' মোদী সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে অপব্যবহার করছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে।
'আরও পড়ুন- অন্যান্য চাকরির মত অগ্নিপথেও সংরক্ষণ প্রযোজ্য, জানাল কেন্দ্র
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিও। অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের ডাকা বৈঠকেও যোগ দিয়েছিল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রতিনিধি। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা ওই বৈঠকে অধিবেশন চলাকালীন সংসদে বিরোধীদের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ' বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিশিষ্ট নেতাদের ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা করা হয়েছে। তাঁরা নজিরবিহীনভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং মোদী সরকারের গণবিরোধী, কৃষকবিরোধী ও সংবিধানবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার, সেই লড়াই তীব্র করার সংকল্প করছি। কারণ, মোদী সরকারের নীতি আমাদের সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করছে।'
কংগ্রেস ও তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি ছাড়াও এই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে ডিএমকে, সিপিএম, টিআরএস, শিবসেনা, আরজেডি, সিপিআই, আরএসপি, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও এমডিএমকে নেতৃত্ব। গত মাসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। সেই সময় বেশ কয়েক দফা মিলিয়ে দীর্ঘ ৫০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রাহুলকে। কিন্তু, তারপরও মুখ খোলেননি বিরোধীরা। কিন্তু, সনিয়া গান্ধীর বেলায় তাঁরা সরব হলেন। যাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
Read full story in English