ন্যাশনাল হেরাল্ড তদন্তে গতি আরও বাড়াল ইডি। মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা দিল্লির বাহাদুর শাহ জাফর মার্গের হেরাল্ড হাউস-সহ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের তদন্তে প্রায় ১০টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। হেরাল্ড হাউস হল সংবাদপত্রের নিবন্ধিত অফিসের ঠিকানা। এর প্রকাশক অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড (AJL)। এই সংস্থাটি গান্ধী পরিবারের মালিকানাধীন ফার্ম ইয়ং ইন্ডিয়ানের 'অধিগৃহীত'। এই অধিগ্রহণ নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে দফায়-দফায় তিন দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সভানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে মেলা তথ্য ধরেই এদিনের এই তল্লাশি অভিযান চলে। এর আগে এই একই মামলায় রাহুল গান্ধীকেও পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।
শুধু সোনিয়া-রাহুলই নন, এই মামলায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং পবন বনসলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থাটি। ২০১০ সালে ইয়ং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড "পিট্যান্স"-এর জন্য অধিগ্রহণ করে। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মালিকানাধীন সব সম্পত্তি নিয়েই গান্ধী পরিবাররে সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।
২০১৩ সালে বিজেপি সাংসদ সুব্রামনিয়ান স্বামী এব্যাপারে অভিযোগ তোলেন। স্বামীর অভিযোগ ছিল, গান্ধী পরিবার ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের অধিগ্রহণে প্রতারণা এবং তার তহবিলের অপব্যবহার করেছে। স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৫ সালে নিম্ন আদালত সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে জামিন দেয়।
আরও পড়ুন- কবে থেকে কার্যকর হবে CAA, দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্তে ইডির এই তৎপরতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই শুরু থেকে তোপ দেগে আসছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সংস্থার এই অভিযানেরও নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেস। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় দলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ হাত-শিবিরের।
টুইটে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লিখেছেন, ''হেরাল্ড হাউস, বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে অভিযান ভারতের প্রধান বিরোধী দল-ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অব্যাহত থাকা আক্রমণের একটি অংশ। যারা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার এই রাজনীতির তীব্র নিন্দা জানাই। আপনি আমাদের চুপ করাতে পারবেন না!"