মহাবিকাশ আগাড়িতে থাকার সময় সাভারকরের প্রশংসা করা যেত না। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোট জয়ের পর এমনই খেদোক্তি করতে শোনা গেল একনাথ সম্ভাজি শিণ্ডেকে। স্পষ্ট জানালেন, তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য হিন্দুত্ব ও উন্নয়ন। মহারাষ্ট্রের জন্য তিনি এতদিন ধরে কী করেছেন, তা-ও স্পষ্ট করেছেন শিণ্ডে। মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তিনি মহারাষ্ট্রের যুবশ্রেণিকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছেন। ১৬টি ডান্স বার তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন।
এইজন্য তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। তারপরও তিনি থামেননি। মহারাষ্ট্রের বুকে যেন লেডিস ডান্স বার না-চলে, তা নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছেন শিণ্ডে। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সোমবারই হয়ে গিয়েছে ভাগ্য নির্ধারণ। ১৬৪টি ভোট পেয়ে আস্থা প্রমাণ করেছে শিবসেনা ও বিজেপির সরকার। বিধানসভায় তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিণ্ডে তুলে আনেন ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ। তাঁকে নির্বাচনে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, তাতে তিনি খুব বিরক্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের নতুন। তিনি বলেন, 'তাঁদের (ঠাকরেদের) বোঝা উচিত, কেন এতবড় একটা বিদ্রোহ হল। তাদের এর কারণ খোঁজা উচিত। দলকে বাঁচাতে তিনি শহিদ হতেও রাজি ছিলেন।' এমনই দাবি করেছেন শিণ্ডে।
আরও পড়ুন- যশবন্ত সিনহার ‘রবার স্ট্যাম্প রাষ্ট্রপতি’ মন্তব্য, ‘নোংরা মানসিকতা’র অভিযোগে নিন্দায় সরব বিজেপি
শিণ্ডের অভিযোগ, উদ্ধব ঠাকরের লোকজন তাঁদের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহী বিধায়কদের পশুর সঙ্গে তুলনা করেছে। সেই সময় তাঁরা গুয়াহাটিতে ছিলেন। এই প্রসঙ্গে শিণ্ডে বলেন, 'একদিকে আপনি লোক পাঠিয়ে বিদ্রোহীদের আলোচনার কথা বলছেন। আবার অন্যদিকে গালাগাল করছেন। বাড়িতে পাথর ছুড়ে মারছেন। তারা আমাদের পশুর সঙ্গে তুলনা করেছে, গালাগালি দিয়েছে। আমাদের জীবন্ত লাশের সঙ্গে তুলনা করেছে।' কিন্তু, গত আড়াই বছরে তাঁদের যে চরম সমস্যা হয়েছে, সেদিকে উদ্ধব ঠাকরে ফিরেও তাকাননি বলেই অভিযোগ করেছেন শিণ্ডে। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেসের সঙ্গে 'অস্বাভাবিক' জোট থাকায়, 'গত আড়াই বছরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আমরা কোনও ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আমরা বীর সাভারকরের প্রশংসা করতে পারিনি। কারণ, কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের জোট ছিল।'
Read full story in English