শুনলেই চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। শুধুমাত্র বিমান ভাড়াই নাকি ৫০ লক্ষ টাকা। এতটাই বিলাসবহুল বিমানে চাপিয়ে শিবসেনা বিধায়কদের অসমে নিয়ে এসেছেন দলনেতা একনাথ সম্ভাজি শিন্ডে। মানে অবশ্য তিনি নন। যাঁদের ইঙ্গিতে তিনি মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার খেলা করছেন, তাঁদের টাকায় এনেছেন। সুরাট থেকে গুয়াহাটি, চার্টার্ড ফ্লাইটে আসা মোটেও হেলাফেলা ব্যাপার না। জেট সেট গো-এর মত ৩০ জনেরও বেশি যাত্রী বইতে পারে, এমন চার্টার্ড বিমানে সুরাট থেকে গুয়াহাটি আসতে ভাড়া লাগে ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি।
তবে শুধু এটুকুতেই শেষ নয়। একটি চার্টার্ড এয়ারক্রাফট, তিনটি বিলাসবহুল বাস এবং বিমানবন্দর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি হোটেলে। মহারাষ্ট্র থেকে বিদ্রোহী বিধায়কদের বের করে আনা একনাথ শিন্ডের কাছে চাট্টিখানি ব্যাপার ছিল না। রীতিমতো ব্যয়বহুল বললেও কম হয়। কিন্তু, সেই পথে হেঁটেই ক্ষমতাসীন কংগ্রেস ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির মহাবিকাশ আগারি জোট থেকে শিবসেনাকে বের করে আনার চেষ্টা শুরু করেন শিন্ডে।
তাঁর এই নাটক শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার থেকে। ওই রাতেই একঝাঁক বিদ্রোহী বিধায়ককে নিয়ে মহারাষ্ট্র থেকে বিজেপিশাসিত গুজরাতে চলে গিয়েছিলেন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। ছিলেন গুজরাটের সুরাটের হোটেলে কড়া পুলিশ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে।
আরও পড়ুন- সময় চেয়েছিলেন সনিয়া, দিল ইডি, জুলাইয়ের শেষের দিকে জিজ্ঞাসাবাদ
রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে সুরাট বিমানবন্দরে একটি চার্টার্ড স্পাইসজেট বিমান প্রস্তুত ছিল। মধ্যরাত হওয়ার প্রায় আধঘণ্টা আগে শিন্ডে ও তাঁর বিধায়কদের গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে হোটেলে নিয়ে যায় তিনটি বিলাসবহুল বাস।
আর, গুয়াহাটির সেই পাঁচতারা হোটেল র্যাডিশন ব্লু একসপ্তাহের জন্য বুকিং করেছে শিন্ডেবাহিনী। যার অর্থ, এই লড়াইয়ে তারা ইতিমধ্যেই দীর্ঘ পথে হাঁটার প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে শিবসেনার ৪০ জন বিধায়ক আছেন। বিদ্রোহের কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, গত আড়াই বছরে শিবসেনার নেতা-কর্মীরা মহারাষ্ট্রে বঞ্চিত হয়েছেন।
তার প্রতিবাদেই তারা উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। শিন্ডে অ্যান্ড কোং-এর দাবি বিজেপিই তাদের স্বাভাবিক মিত্র। সেই কারণে, তাঁরা বিজেপির হাত ধরতে চান। ইতিমধ্যেই বিদ্রোহী বিধায়কদের একাংশ জানিয়েছেন, শিবসেনা জোট ছাড়লেই তাঁরা বিদ্রোহে ইতি দিতে চান।
Read full story in English