জল্পনা ছিল তৃণমূলে যাবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত কংগ্রেসে যোগ দিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন দুই বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ এবং আশিসকুমার সাহা। গতকালই তাঁরা বিধায়ক পদ এবং বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে রাহুল গান্ধির বাসভবনে যান তাঁরা।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে সুদীপ জানিয়েছেন, "অনেক বিধায়ক দল ছাড়তে চান। কিন্তু কিছু কারণের জন্য তাঁরা আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে চান। প্রত্যেকেরই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে। আমার মনে হয়, গুজরাট-হিমাচলের সঙ্গে ত্রিপুরাতেও ভোট করানো উচিত।"
মঙ্গলবার সুদীপ এবং আশিস বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার রতন চক্রবর্তীকে নিজেদের ইস্তফাপত্র দেন। এরপর দলীয় সদস্যপদও ছাড়েন তাঁরা। অনেক দিন ধরেই সুদীপকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল। প্রকাশ্যে সরকার এবং দলের নীতির সমালোচনা করেছিলেন একাধিকবার। আগে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। পরে মন্ত্রিসভার রদবদল হওয়ায় মন্ত্রিত্ব খোয়ান তিনি।
সোমবার বিধানসভার স্পিকারকে পদত্যাগপত্র দিয়ে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সুদীপ বলেন, “আমরা স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি যে আমরা পদত্যাগ করেছি, কারণ এই সরকার ভাল কিছু দিতে ব্যর্থ হয়েছে, প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকারে শুধু একজন মানুষের কণ্ঠস্বর শোনা যায় বা তার নির্দেশ পালন করা হয়। কোনও বিধায়ক, কোনও মন্ত্রী তাঁদের কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন না। তাঁদের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। গোটা রাজ্যে আতঙ্কের রাজত্ব চলছে। গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন ত্রিপুরায় বিজেপ ছাড়লেন সুদীপ রায়বর্মন-সহ দুই বিধায়ক, এবার কি গন্তব্য তৃণমূল?
আগেও বহুবার দলবদল করেছেন সুদীপ। কংগ্রেসি ঘরানার নেতা বেশ কয়েক বছর আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ-সহ ৬ বিধায়ক। তার পর অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যান সুদীপ-সহ সেই ৬ জন। মনে করা হচ্ছিল, তৃণমূলে ফিরবেন সুদীপরা। কিন্তু স্রোতের উল্টোদিকে গিয়ে প্রথম দল কংগ্রেসেই ফিরলেন তাঁরা।
এদিকে, ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য দলের বিরুদ্ধে সুদীপের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। বলেছেন, "সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। মাত্র দুজন পদত্যাগ করে এটা প্রমাণ হয় না ওরা যা বলছেন। কোনও মন্ত্রী এমনটা বলেননি, যে তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।"