চাপ, পাল্টা চাপের খেলা। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এখন এটাই যেন দস্তুর। সোমবার সুপ্রিম স্বস্তি পেয়েই শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক শিবির মঙ্গলবার উদ্ধব ঠাকরেদের উপর চাপ বাড়াতে মরিয়া হয়।সূত্রের খবর, একনাথ শিণ্ডেরা রাজ্যপালের কাছে আস্থা ভোটের সুপারিশ নিয়ে যাচ্ছেন। এই খবরের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা দিলেন সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। তাঁর সাফ দাবি, অসমের হোটেলবন্দি শিণ্ডে শিবিরের বেশ কয়েকজন দলীয় বিধায়ক শিবসেনার মূলস্রোতে ফিরতে চেয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে উদ্ধব ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়ের বার্তা, অসম থেকে কোনও বিধায়ক দলের মূল স্রোতে এলে তাঁকে বিদ্রোহী বলে গণ্য করা হবে না।
রাউতের দাবি, মহারাষ্ট্রের বিরোধী দল নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মহাবিকাশ আগাড়ি সরকারের মধ্যে উদ্ভূত সঙ্কটে জড়ানো উচিত নয়। বলেছেন যে, 'যদি বিজেপি জোট সরকার ফেলতে উদ্যোগী হয় বা কলকাঠি নাড়ে তাহলে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাম কলঙ্কিত হবে। মনে রাখা প্রয়োজন যে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বিরোধী নেতা এবং তাঁর দলের ১১৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। যা বড় সংখ্যা। তিনি সত্যিই কিছু ভাল কাজ করতে পারেন এবং মহারাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তিনি এটি করতেও সক্ষম। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। কিন্তু আজ, রাজনীতিতে যা কিছু ঘটছে, তাতে ফড়নবীশকে জড়ানো উচিত নয়। বন্ধু হিসেবে ফড়নবীশকে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ যে, যদি তাঁরা জোট সরকারে ফলতে উদ্যোগী হয় তাহলে তাঁদের দল, ফড়নবীশ নিজে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাম কলঙ্কিত হবে।'
অর্থ পাচারের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সঞ্জয় রাউতকে আজ তলব করেছিল। তবে আরও সময় চেয়েছিলেন রাউত। সোমবার, ইডির সমনকে কটাক্ষ করেছিলেন শিবসেনা মুখপাত্র। জানান যে, সঙ্কটের সময়ে তাঁদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করা থেকে বিরত রাখতেই সমন আসলে একটি ষড়যন্ত্র।