ঠিকাদারের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় কর্ণাটকের রাজ্য রাজনীতি। মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল উদুপি পুলিশ। বুধবারই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু হয়েছে। মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা-সহ তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর নাম রয়েছে এফআইআরে।
প্রসঙ্গত, সরকারি প্রকল্পের কাজে যুক্ত থাকা ঠিকাদার সন্তোষ পাটিলের দেহ উদুপির একটি হোটেলে মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার অনুমান পুলিশের। সম্প্রতি তিনি মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে কমিশন নিয়ে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তোলেন। তিনি সক্রিয় বিজেপি সদস্য ছিলেন।
৪০ বছর বয়সী সন্তোষের দেহ উদুপির সম্ভাবি হোটেল পাওয়া যায় মঙ্গলবার সকালে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। কর্ণাটকের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে সম্প্রতি একাধিক অভিযোগ আনেন সন্তোষ। তিনি এও জানিয়েছিলেন, তাঁর কিছু হলে দায়ী থাকবেন মন্ত্রী। শেষপর্যন্ত মৃত্যুই হল ঠিকাদারের। মৃত ঠিকাদারের অভিযোগ ছিল, বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা এক বছর ধরে সরকারি কাজের জন্য বিল পাশের ক্ষেত্রে টাকা চেয়ে তাঁকে হয়রানি করছিলেন। এমনকী মৃত পাটিল আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর কিছু হলে ঈশ্বরাপ্পাকেই দায়ী করা উচিত।
আরও পড়ুন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনা ঠিকাদারের রহস্যমৃত্যু
মঙ্গলবার সকালেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাইকে ওই ঠিকাদারের ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। এদিকে, মৃত ঠিকাদার সন্তোষ পাটিল নিজেকে ‘হিন্দু বাহিনী’ নামে একটি ডানপন্থী সংগঠনের জাতীয় সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকেও তিনি কর্নাটকের মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছিলেন। ঈশ্বরাপ্পা এবং তাঁর সহযোগীরা ‘কমিশনের’ জন্য তাঁকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন সন্তোষ। যদিও ঈশ্বরাপ্পা পাল্টা দাবি করে জানিয়েছিলেন যে তিনি পাটিলকে চেনেনই না।