Advertisment

ফের ঘোড়া কেনাবেচা! রাজ্যসভার আগে দলের সঙ্গে দূরত্ব মন্ত্রী-সহ বিধায়কদের

রাজস্থানে এবার চারটি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Ashok Gehlot cabinet in 2021

রাজস্থানে রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে ফের তৈরি হয়েছে ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা। ১০ জুন রাজ্যসভা নির্বাচন। রাজস্থানে এবার চারটি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। ওমপ্রকাশ মাথুর, কে জে আলফোনসো, রামকুমার ভার্মা এবং হর্ষবর্ধন সিং দুঙ্গারপুরের মেয়াদ ৪ জুলাই শেষ হচ্ছে।

Advertisment

এমনিতে রাজস্থানের মোট ১০টি রাজ্যসভা আসন রয়েছে। যার মধ্যেই বিজেপির রয়েছে সাতটি আসন। আর কংগ্রেসের তিনটি। কংগ্রেসের সেই তিন সাংসদ হলেন নীরজ ডাঙ্গি, কেসি বেণুগোপাল ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

ঘোড়া কেনাবেচার আঁচ পেয়ে দলীয় বিধায়কদের নির্দিষ্ট রিসর্টে সরানোর ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেস। এই দৃশ্য নতুন কিছু নয়। অতীতেও বারবার এমনটা ঘটেছে। রাজস্থানে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। তা সে রাজ্যসভার নির্বাচনই হোক। অথবা, বিধানসভায় আস্থাভোট।

সেই অতীতের কথা মাথায় রেখেই বিধায়কদের উদয়পুর রিসর্টে একসঙ্গে কড়া নজরে রাখার ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেস। রিসর্টে প্রবেশের চূড়ান্ত সময়সীমা ছিল শুক্রবার সন্ধ্যা। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেখা যায় এক মন্ত্রী-সহ ছয় কংগ্রেস বিধায়ক রিসর্টে আসেননি।

যে মন্ত্রী আসেননি তিনি হলেন রাজেন্দ্র গুধা। তিনি সৈনিক কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী। তিনি যে দলের কথামতো উদয়পুরের রিসর্টে আসেননি, শুধু তাই নয়। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু, শুধু বসে থাকা আর উদ্বিগ্ন হওয়ায় তো কিছু কাজ হয় না।'

আরও পড়ুন- রাজ্যসভার ভোট: বাগে পেয়ে শাসক-শিবিরকে সবক শেখাল BJP

এই কথার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, তিনি রাজ্যসভায় ভোট নিয়ে দরাদরিতে নামতে চলেছেন। বাকি বিধায়কদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একেবারেই তাই। কেউ মন্ত্রী হতে চান। আর যিনি মন্ত্রী আছেন, তিনি চান আরও বড় দফতরের দায়িত্ব পেতে। এমনটাই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠদের।

তাঁদের অবশ্য দাবি, দল সব সামলে নেবে। এই ছ'জনের বিদ্রোহে বিরাট কিছু একটা এসে যাবে না। যদিও রাজস্থান কংগ্রেসের একাংশের দাবি, বিদ্রোহী ছয় মন্ত্রী-বিধায়ক আসলে বিজেপির টোপ পেয়েছেন। সেই কারণেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। এই পরিস্থিতি আগামী দিন ছয়েকের মধ্যে কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, সেটা এখন কংগ্রেসের ক্যারিশমার ওপর নির্ভর করছে।

Read full story in English

CONGRESS rajasthan Rajya Sabha
Advertisment