বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২৪ ঘন্টাও কাটেনি। ফের দলভারী করল বিজেপি। শুক্রবার বিজেপিতে যোগদান করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি। কয়েক সপ্তাহ আগেই অবশ্য হাতের সহ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন রেড্ডি। ২০১৪ সালে তেলেঙ্গানা গঠনের আগে অভিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি।
কংগ্রেসের কার্যপ্রণালীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রেড্ডি। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, 'দল নিয়ন্ত্রের জন্য কর্তৃপক্ষ শুধু কর্তৃত্ব কায়েম করতে চায়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রম বা বাড়তি দায়িত্ব চায় না।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর উপস্থিতিতে এদিন বিজেপিতে যোগ দেন কিরণ কুমার রেড্ডি। গেরুয়া পতাকা ধরেই প্রাক্তন দলের নেতাদের সম্পর্কে তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস নেতৃত্ব জনগণের রায় মেনে নিয়ে পারে না এবং বাস্তবভিত্তিতে দোষত্রুটি সংশোধনেও অক্ষম। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'দলকে এগিয়ে নিয়ে ঠেতে গেলে কাকে কী দায়িত্ব দেওয়া উচিত কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানে না। একজন সত্যিকারের নেতা হলেন এমন একজন যিনি রাষ্ট্রের সমস্যাগুলি বোঝেন এবং সমস্যাগুলি প্রাসঙ্গিক নেতাদের কাছে অর্পণ করেন সংশোধনের জন্য।'
গত মাসে, দক্ষিণী রাজ্যের বর্ষীয়ান রাজনীতিক রেড্ডি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে এক লাইনের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য কংগ্রেস ছাড়লেন রেড্ডি। প্রথমবার দল ছাড়ার পর বছর পাঁচেক আগে ফের হাত ধরেছিলেন এই রাজনীতিবিদ। অন্ধ্রপ্রদেশে গত নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলাফলের কারণ যাচাইয়ে তিনি বলেছিলেন, 'বাস্তবতার ভিত্তিতে সবকিছু যাচাই করা উচিত, আমরা এটি সঠিকভাবে করছি নাকি ভুল পথে করছি সেটা দেখা প্রয়োজন।'
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ওয়াই এস আর রাজশেখর রেড্ডির মৃত্যুর পর এক বছরেরও বেশি সময় মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি সামলেছিলেন কে রোসাইয়া। তাঁর পদত্যাগের পর ২০১০ সালের ২৫ নভেম্বর রেড্ডি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। রেড্ডির উত্থান সেই সময়ে কংগ্রেসের অনেক শীর্ষ নেতাকেও চমকে দিয়েছিল। কারণ তিনি কখনও কোনও মন্ত্রী ছিলেন না এবং জননেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন না।