মহারাষ্ট্র বিজেপিতে বড় ভাঙন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী একনাথ খাডসে যোগ দিতে চলেছেন এনসিপিতে। শুক্রবারই তিনি যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। মহারাষ্ট্র এনসিপির সভাপতি জয়ন্ত পাতিল জানিয়েছেন, "একনাথ বিজেপির সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এবার তাঁকে আমরা দলে নেব।" গত ২০১৬ সালে দুর্নীতির অভিযোগে একনাথকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়ায় দলের মধ্যেই একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন একনাথ। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁকে টিকিট দেননি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবিশ। বদলে একনাথের মেয়েকে ওই আসন থেকে টিকিট দেয় বিজেপি। কিন্তু একনাথের মেয়েও নির্বাচনে হেরে যান।
গত কয়েক বছরে দলের প্রবীণ নেতা একনাথের সঙ্গে ফড়ণবিশ শিবিরের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। ফড়ণবিশের বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ক্ষোভ উগরে দেন একনাথ। গত সপ্তাহে ফড়ণবিশের উপস্থিতির কারণে জলগাঁওতে একটি অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন একনাথ। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার জন্য ফড়ণবিশের বিরুদ্ধে লাগাতার খড়গহস্ত হয়েছেন একনাথ। দলীয় সভায় না গিয়ে এনসিপি নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা। তখনই জল্পনা গাঢ় হয় একনাথের দলবদলের। তবে গেরুয়া শিবিরের গত কয়েকদিন ধরে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল জল্পনা উড়িয়ে বলেছিলেন, "দলের বহু পুরনো নেতা একনাথ খাডসে। উনি বিজেপির সঙ্গেই আছেন। যদি কেউ পদত্যাগ করে তাহলে সেই চিঠি আমার কাছেই আসবে। আমি একনাথের তরফে কোনও ইস্তফা পত্র পাইনি। উনি এমনটা করবেন না।" দেবেন্দ্র ফড়ণবিশও একনাথের দলত্যাগের কথা অস্বীকার করেছিলেন।
আরও পড়ুন কৃষি আইনের প্রতিবাদ করায় ‘পাকিস্তানি’ তকমা! দল ছাড়লেন বিজেপির শীর্ষ নেতা
কিন্তু গত সোমবার এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার জানিয়েছেন, "খাডসে এক সময় বিরোধী দলনেতা ছিলেন। মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে দাঁড় করানোর পিছনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। যদি কারও মনে হয় যে, তাঁর কাজকর্ম এবং অবদানের কোনও মূল্য নেই, এবং তিনি সে কারণে হতাশ থাকেন। তাহলে তিনি তিনি অন্য দলে কেন যাবেন না, যেখানে তাঁকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে।" প্রসঙ্গত, খাডসের পুত্রবধূ রক্ষা খাডসে রাভের লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন