অশোক গেহলট অতীত। দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলের সভাপতি পদে গান্ধীদের তরফে বকলমে প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়গে। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেশ করেছেন সনিয়া, রাহল গান্ধীদর আস্থাভাজন এই নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের 'বিদ্রোহী' শিবিরের নেতা তথা সাংসদ শশী থারুর। খাড়গেকে কংগ্রেসের সভাপতি পদের লড়াইয়ে নামানো গান্ধীদের বড় চাল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ মল্লিকার্জুন মনোনয়ন পেশ করতেই ভেঙে গেল হাত শিবিরের জি-২৩ বলে পরিচিত 'বিদ্রোহী'দের জোট।
কার্যত একঘরে শশী থারুর। খাড়গের মনোনয়নে সাক্ষর করেছেন কংগ্রেসের 'বিদ্রোহী' গোষ্ঠীর সদস্য বলে পরিচিত ভূপিন্দর সিং হুডা, আনন্দ শর্মা, মনীশ তেওয়ারি, পৃথ্বীরাজ চহ্বানরা। হাত শিবির সূত্রে খবর, প্রাক্তন লোকসভা সাংসদ সন্দীপ দীক্ষিত সম্ভবত একমাত্র জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্য যিনি থারুরের মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক হিসাবে স্বাক্ষর করেছিলেন। জি-২৩ নেতাদের অধিকাংশের মতে, শশী থারুর মোটেই সভাপতি পদে উপযুক্ত প্রার্থী নন। আগেই তাঁরা জানিয়েছিলেন যে, দিগ্বিজয় সিং যদি থারুরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন, তাহলে তৃতীয় প্রার্থী হিসাবে তাঁদের মধ্যে কেউ সভাপতি পদের লড়াইতে নামতেন। অর্থাৎ থারুরকে যে 'বিদ্রোহী' শিবির কোনওমতেই সমর্থন করছেন না তা স্পষ্ট।
তাৎপর্যপূর্ণ যে, খাড়গের পেশ করা মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে মুকুল ওয়াসনিক, অখিলেশ প্রসাদ সিং, ভূপিন্দার সিং হুডা, আনন্দ শর্মা, মণীশ তেওয়ারি এবং অশোক চহ্বনের স্বাক্ষর রয়েছে। এঁরা সকলেই ২০২০ সালের অগাস্টে সনিয়া গান্ধীকে পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ছিলেন। এছাড়াও সাক্ষর রয়েছে, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য- এ কে অ্যান্টনি, অশোক গেহলট, অম্বিকা সোনি, অভিষেক সিংভি, অজয় মাকেন, দিগ্বিজয় সিং এবং তারিক আনোয়ারের।
এই প্রসঙ্গে আগেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শশী থারুর বলেছিলেন যে, 'আমি জি-২৩ গোষ্ঠীর হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না এবং আমি তাঁদের কাছ থেকে সমর্থনও চাইছি না। আমার লড়াইয়ের লক্ষ্য দলকে পুনরুজ্জীবিত করা, ব্যহত করা নয়।' তাঁর সংযোজন, 'আমরা এমন কিছু করছি যা জি-২৩ গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে উঠে সমস্ত কংগ্রেস কর্মীদের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে'