যোগ দেওয়ার এক মাসের মধ্যে তৃণমূল ছেড়েছেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক অ্যালেইক্সো রেজিনাল্ডো লরেন্সো। ফের কংগ্রেসে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনবারের বিধায়ক। কিন্তু পুরনো দল তাঁকে ফেরাল না। বরং তাঁর পুরনো কেন্দ্রে অন্য কাউকে প্রার্থী কড়া বার্তা দিল লরেন্সোকে। সেই সঙ্গে মরিয়া হয়ে নির্দল হয়ে ভোটে লড়তে চান লরেন্সো।
লরেন্সো ডিসেম্বরে কংগ্রেস ছেড়ে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মাস ঘুরতেই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েন তিনি। দোটানায় ভুগছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন কংগ্রেস ফিরিয়ে নেবে। তা তো হয়ইনি, উল্টে কোনও দলেরই টিকিট পেলেন না লরেন্সো। অবশেষে নির্দল হয়ে ভোটে লড়তে চান কুর্তোরিমের তিন বারের বিধায়ক।
প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জোড়াফুল শিবিরে গিয়েছিলেন তিনি। তাও আবার তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দেয় কংগ্রেস। এমন আঘাত মেনে নিতে পারেনি হাত শিবির। আবার তিনি তৃণমূল ছেড়ে পুরনো দলে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুরনো দলও দরজা বন্ধ করে দেয়। বুধবার কংগ্রেস পঞ্চম প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে কুর্তোরিমে অন্য কাউকে প্রার্থী করেছে তারা। তাতেই হতাশ লরেন্সো। তাঁর শ্যাম-কূল দুই-ই যাওয়ার অবস্থা।
আরও পড়ুন গোয়ায় প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, প্রার্থী হলেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
বুধবার লরেন্সো জানিয়েছেন, তৃণমূল ছেড়েছিলাম কংগ্রেসের জন্য। আমি ওদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমি সব কিছু ছেড়ে এবার নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই। আমি নির্দল হয়ে লড়ব। সব নির্বাচনই চ্যালেঞ্জ। কুর্তোরিমের আমার জনতা আর আমার ঈশ্বর আমার সঙ্গে আছে। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করছি, আমি সবাইকে হারাব।
এদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে হতাশা পেল গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি। কারণ কংগ্রেস সেন্ট আন্দ্রে এবং কাঙ্কোনা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছি। যেখানে তারা এই দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে চেয়েছিল। এমনকী ফরোয়ার্ড পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া উত্তর গোয়ার মান্দ্রেম কেন্দ্রেও প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রস। মোট তিনটি আসন তাদের ছেড়েছে কংগ্রেস।