প্রথমে গুজরাত। সেখান থেকে অসমের গুয়াহাটির পাঁচতারা হোটেল। সেখানে বেশ কিছুদিন কাটানোর পর অবশেষে মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়করা। নেতৃত্ব অবশ্যই একনাথ শিন্ডে। যাঁর নেতৃত্বে এই বিধায়করা শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। তাঁরা ফিরলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী বিদ্রোহী বিধায়কদের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজভবনে এসকর্ট করে নিয়ে যাবে। এমনই কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এর মধ্যেই অবশ্য বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যে ১৫ জনকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। শিন্ডের দাবি তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ৪০ জন শিবসেনা বিধায়ক। তা হলে, মাত্র ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে কেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পাশাপাশি, পাঁচতারা হোটেলের মধ্যেই বিদ্রোহী বিধায়কদের নিজেদের মধ্যে মতান্তর দেখা দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগকে মিথ্যে প্রমাণিত করতে বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যে একজনের জন্মদিন রবিবার হোটেলেই সাড়ম্বরে পালন করা হয়। বিধায়কদের দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলানো হয়, কারও সঙ্গে কোনও মতান্তর হয়নি।
আরও পড়ুন- ভারতের ইতিহাসে ও গণতন্ত্রে কালো দাগ জরুরি অবস্থা, মিউনিখেও মোদীর নিশানায় ইন্দিরা জমানা
এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রজুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল উদ্ধব হাওয়া। ঠাকরে পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে শিবসেনা নেতা-কর্মীরা বিদ্রোহী বিধায়কদের বাড়ি এবং অফিসে ভাঙচুর করেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এমনই অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি দেখে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশওয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে মহারাষ্ট্রে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। তাঁর অনুরোধ পাওয়ার মহারাষ্ট্রে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নবি মুম্বইয়ের তালোজায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘাঁটি গেড়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজভবন প্রকাশ্যে কোনও মুখ খোলেনি। রাজ্যপাল কোশওয়ারি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। রবিবারই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু, বিতর্ক উসকে উঠেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার বক্তব্যে। ভাল্লা জানিয়েছেন, 'রাজ্যপালই জানিয়েছেন, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের ঘর-অফিস ভাঙচুর হচ্ছে। আর, পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পাল করছে। তাই তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রস্তুত রাখতে অনুরোধ করেছিলেন। সেই মতোই বাহিনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের এই বক্তব্য নিয়ে অবশ্য পালটা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিলও।
Read full story in English