২০১২ ও ২০১৭ সালের মতোই এবারও গুজরাটে বিধানসভা ভোট হবে দু'দফায়। আগামী ১লা ও ৫ই ডিসেম্বর মোদী, অমিত শাহদের রাজ্যে ভোট হবে। গণনা হবে ৮ই ডিসেম্বর। ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় পশ্চিমী এই রাজ্যে টানটান উত্তেজনা। লড়াই এবার ত্রিমুখী। বিজেপি, কংগ্রেসকে এবারের ভোটে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে আম আদমি পার্টি। তবে, আরও একবার গুজরাটের মসনদ ধরে রাখার বিষয়ে আশাবাদী গেরুয়া বাহিনী। কিন্তু, আসন বা ভোটের শতাংশ কী বাড়বে? এ নিয়ে এখনও নিশ্চিৎ নয় পদ্ম শিবির।
Advertisment
২৭ বছর ধরে গুজরাটের ক্ষমতায় বিজেপি। ১৯৯৫ সালের পর ২০১৭ সালে মোদী-হীন গুজরাটে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হয়েছিল বিজেপির। ১৮২ মোট আসনের মধ্যে পদ্ম ফুটেছিল ৯৯টি আসনে। কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৭ আসন। তবে, ২০১২-র তুলনায় কম আসন পেলেও গতবারের বিধানসভাতে শতাংশের বিচারে ভোটপ্রাপ্তিতে ভাল ফল করেছিল গেরুয়া দলটি। তাদের দখলে ছিল ৪৯.০৫ শতাংশ ভোট। হাত শিবির পেয়েছিল ৪১.৪৪ শতাংশ ভোট।
২০১২ সালে মোদীর নেতৃত্বে বিধানসভা ভোটে গুজরাটে বিজেপির দখলে ছিল ১১৫টি আসন। তবে, শতাংশের নিরিখে প্রাপ্ত ভোট ছিল ২০১৭-র তুলনায় কম। গেরুয়া বাহিনীর দখলে ছিল ৪৭.৮৫ শতাংশ ভোট। সেবার ৬১টি বিধায়ক জয় পেয়েছিলেন। তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৮.০৯ শতাংশ। মনে করা হয়েছিল, পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালের ভোটে আরও ভাল ফল করবে বিজেপি, কিন্তু তা হয়নি। গতবার দ্বিমুখী লড়াইয়ে পাতিদার আন্দোলন পদ্মের আসন কমার নেপথ্যে অন্যতম কারণ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অবশ্য ২০১৪ বা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট গুরাটের ২৬টি আসনের সবকটিতেই জয় পেয়েছিল পদ্ম শিবির। প্রাপ্ত ভোট দু'বারই ছিল ৬০ শতাংশের উপরে।
এবার গুজরাটে লড়াই ত্রিমুখী। দিল্লি, পাঞ্জাব জয়ের পর এবার প্রবলভাবে আসরে রয়েছে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। যা নিশ্চিৎভাবে বিজেপি ও কংগ্রেসের কাছে চ্যালেঞ্জের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির তুলানায় আপ কংগ্রেসের ভোট কাটবে। নির্দল বা ছোট দল ১ থেকে ২টি আসন পেতে পারে।