মসজিদে আজানের পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা পাঠ করে বিতর্কে মহারাষ্ট্রের নির্দল সাংসদ এবং বিধায়ক দম্পতি। মুম্বই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতারই করেনি, তার সঙ্গে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করেছে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা উদ্রেকের অভিযোগে সাংসদ নবনীত রানা এবং তাঁর স্বামী বিধায়ক রবি রানাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন মাতশ্রীর বাইরে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা পাঠ করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তার পরেই শিরোনামে চলে আসেন নির্দল এই সাংসদ এবং বিধায়ক দম্পতি। শিবসেনা কর্মী-সমর্থকরা এই তুমুল প্রতিবাদ করে। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ এসে দুজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে, বম্বে পুলিশ আইনের ১৫৩ এ, ৩৫, ৩৭ এবং ১৩৫ ধারায় মামলা রুজু করে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্যে বাধাদান, নিগ্রহ করার অপরাধে মামলা দায়ের করে। রবিবার তাঁদের দুজনকে বান্দ্রা হলিডে আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি প্রদীপ ঘারাত বলেন, দুজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন জাহাঙ্গিরপুরীর দাঙ্গা: ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে ধৃত ৫
তিনি বলেছেন, যেভাবে সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন তার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাংসদ-বিধায়ক দম্পতিকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
মুম্বই পুলিশ দুজনকে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। দম্পতি জামিনের আবেদন করেছেন। তার শুনানি হবে আগামী ২৯ এপ্রিল।