প্রায় একইসঙ্গে দু'জনে কংগ্রেস ছেড়েছেন। রাজস্থানের উদয়পুরের চিন্তন বৈঠকের মধ্যেই দল ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন পঞ্জাবের সুনীল জাখর। তার দু'দিনের কাটতে না-কাটতেই তিনি মানে গুজরাটের হার্দিক প্যাটেল। বংশপরম্পরায় কংগ্রেসের ঘরের ছেলে জাখর অবশ্য বৃহস্পতিবারই পুরোনো উত্তরীয়টা বদলে বিজেপিরটা পরে ফেলেছেন। পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন সুনীল জাখর। ২০১৯-এ কংগ্রেসে যোগ দেওয়া হার্দিকও অবশ্য সেই তুলনায় নেহাত কম ছিলেন না। গুজরাত কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি ছিলেন। পাতিদার নেতা অবশ্য এখনও বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেননি বলেই দাবি করেছেন। তবে, অফারটা যে গেরুয়া শিবিরের থেকে আছে, সেকথা গোপন করেননি।
বৃহস্পতিবার দলবদলের সিদ্ধান্তের কথা না-জানালেও সদ্যপ্রাক্তন দল নিয়ে পাতিদার নেতা একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন। আহমেদাবাদের সাংবাদিক বৈঠকে পুরোনো দলকে বর্ণবাদী তকমাও দিলেন। এতেই শেষ না। যে দলের একনম্বর পরিবার গান্ধী পদবি বয়ে বেড়ায়, যে দলের নেতা ছিলেন বল্লভভাই প্যাটেল, সেই দলকেই 'গুজরাতি-বিরোধী' বলেও দাবি করে বসলেন। এমনকী, যেন হাত কামড়াচ্ছেন, প্রায় সেই সুরে হার্দিক দাবি করলেন, 'কংগ্রেসে যাওয়াটাই ভুল হয়েছিল।' সেজন্য আবার গুজরাটবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন সদ্যপ্রাক্তন কংগ্রেস নেতা।
আরও পড়ুন- বিজেপিতে সুনীল জাখর, তিন দিন আগেই ছেড়েছিলেন কংগ্রেস
কেন তিনি এসব বলছেন, সাংবাদিক বৈঠকে তা-ও খোলসা করার চেষ্টা করলেন পাতিদার আন্দোলনের এই নেতা। হার্দিক বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে একটা জিনিস খুব নিশ্চিত হয়ে গেছে যে কংগ্রেস গুজরাট বা গুজরাটের জনগণের জন্য কোনও ভাল কিছু করতে চায় না। আমাকে একটা কথা বলুন, দিল্লি থেকে যখন কংগ্রেসের কোনও নেতা গুজরাটে আসেন, কেন তিনি গুজরাটিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন? বিশেষ করে যাঁরা ভালো করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কেন বলেন? যেমন আমরা সর্দার প্যাটেলের কথা বলতে পারি। আমরা মোরারজি দেশাইয়ের কথা বলি। আমরা গৌতম আদানি, মুকেশ অম্বানির কথা বলতে পারি। দেশের প্রধানমন্ত্রী যতই ভালো হোন না-কেন, কংগ্রেসের নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অভিযোগ তুলেছেনই। কারণ তিনি একজন গুজরাটি।' যা শুনে কংগ্রেস নেতারা পালটা বলছেন- এসব আসলে দলবদলের আগে বোধোদয়।
Read full story in English