সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার আওতায় কি হিজাব আসে? মঙ্গলবার এই ইস্যুতে কর্নাটক হাইকোর্টে ঘুরপাক খেল হিজাব মামলা। আদালতে কর্নাটক সরকারের বক্তব্য, সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারায় যে ধর্মীয় রীতি এবং প্রথা পালনের স্বাধীনতা আছে, হিজাব তার আওতায় পড়ে না।
এর আগে এই হিজাব মামলায় উঠেছিল তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার আবার ফ্রান্সের প্রসঙ্গ উঠল। অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ বলেন, ফ্রান্সে ইসলাম স্বীকৃত নয়। কিন্তু, এদেশে স্বীকৃত।
একইসঙ্গে কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, দেশে হিজাব পরায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে, প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলাজনিত কারণে কিছু বিধিনিষেধ আছে।
এই প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ নাভাদগি বলেন, উদুপির যে ছাত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার চেয়ে আবেদন করেছেন, তিনি ২৫ নম্বর ধারার কথা বলেছেন। কিন্তু, সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা না। বরং, ১৯ (১) (এ) ধারায় হিজাব পরার অধিকার স্বীকৃত।
মঙ্গলবার ছিল মামলার অষ্টম দিন। ইতিমধ্যে হিজাব ইস্যুতে কর্নাটক হাইকোর্টে বহু মামলা দায়ের হয়েছে। এই সব মামলা এবং পক্ষকে এক করে একটি মামলা হিসেবে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
এর মধ্যেই মামলার অন্যতম আবেদনকারী হাজরা সাইফা মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগ করেন, তিনি হিজাব ইস্যুতে সরব হওয়ায়, তাঁর পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। একদল লোক তাঁর দাদাকে মারধর করেছে। তাঁদের সম্পত্তি নষ্ট করেছে। মালপে এলাকায় তাঁদের পরিবারিক রেস্তোরাঁয় সোমবার রাতে ভাঙচুর চালিয়েছে। ঘটনায় মালপে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন- ব্রিটেনে খালিস্তানিদের গণভোট, শিখ সংগঠনের ঘনিষ্ঠ অ্যাপ, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ
ওই আবেদনকারী আদালতে বলেন, 'হিজাব আমার অধিকার। তার পরও সেই অধিকার চাওয়ায় কেন আমাদের সম্পত্তি নষ্ট করা হল? এর পর কার ওপর হামলা হবে? আমি সংঘ পরিবারের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।' সাইফা জানান, তাঁর ভাইয়ের নাম সইফ। বয়স ২০ বছর। সোমবারের হামলায় আক্রান্ত হয়ে তাঁর ভাই উদুপির হাইটেক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
Read story in English