দিল্লির মেহরৌলীতে শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে নৃশংভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ-ইন-পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে দেশ উত্তাল হয়েছে। এই হত্যার বর্বরতাই গুজরাট নির্বাচনের প্রচারে বারবার উঠে আসছে বিজেপি নেতাদের মুখে। সম্প্রতি ভোটমুখী গুজরাটে প্রচারে গিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে সে রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করানো উচিত সেই সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে গিয়েই অফতাবের প্রসঙ্গ উত্থাপণ করেছেন হিমন্ত।
অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দেশে যদি শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতা না থাকেন তা হলে প্রতিটি শহরেই আফতাবের মতো ছেলেরা জন্ম নেবে। শ্রদ্ধা ওয়ালকরের উপর আফতাবের নৃশংসতাকে 'লাভ জিহাদ' বলে অবিহিত করেছেন তিনি। কচ্ছের আদিপুরে হিমন্ত বলেছেন, 'আপনারা নিশ্চয়ই দেশের পরিস্থিতির কথা শুনেছেন। কোনও এক আফতাব শ্রদ্ধাকে মুম্বাই থেকে এনেছিল, এবং লাভ জিহাদের নামে তাকে ৩৫ টুকরো করে দিয়েছিল। তারপর সে তাঁর লাশ ফ্রিজে রেখেছিল। লাশটি যখন ফ্রিজ, সে অন্য মেয়েকে নিয়ে এসে ডেটিং শুরু করে। দেশে যদি শক্তিশালী নেতা না থাকে, তিনি যদি দেশকে মা বলে মনে করে সরকার না পরিচালনা করেন, তাহলে এমন আফতাব প্রতিটি শহরে জন্ম নেবে। আমাদের সমাজকে এদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব না। সুতরাং, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোদিজিই পারেন দেশের সব সমস্যা মেটতে।'
কচ্ছেই অন্য এক প্রচার সভায় হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি করেছেন যে, 'দেশে লাভ জিহাদের আইন থাকা উচিত। এরকম ঘটনা আমরা কীভাবে সহ্য করতে পারি? এই সবের জন্য, দেশ কেন্দ্রে এমন একটি সরকার থাকা প্রয়োজন যার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।'
গুজরাটের প্রচারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী ইউনিফর্ম সিভিল কোডের পক্ষে সওয়াল করেন। বলেন, 'ইউনিফর্ম সিভিল কোড আসবে এবং মুসলিম বেটিরা সম্মান পাবে। নারীদের আর খেলনা হিসাবে গণ্য করা হবে না। আমি মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং আমার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। আমার উদ্দেশ্য পরিষ্কার, আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হওয়া উচিত, তাই আমরা মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দিয়েছি।'
কংগ্রেসের সমালোচনা করে হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, ভারতকে দুর্বল করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তা রুখতেই মোজীজির মতো দৃঢ় নেতা প্রয়োজন।