হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই। এবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিন্ত বিশ্বশর্মা। ২০২০ সালে কোভিড মাহামারির সময় অসমের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত তাঁর স্ত্রী ও ছেলের ব্যবসায়িক অংশীদার সংস্থার বাজার থেকে পিপিই কিটের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মণীশ সিসোদিয়া।
দুর্নীতির এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। আগেই মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া শর্মা।
গুয়াহাটি ভিত্তিক পোর্টাল দ্য ক্রস কারেন্টের সহযোগিতায় দিল্লি ভিত্তিক সংবাদ ওয়েবসাইট দ্য ওয়্যারের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে সিসোদিয়া হিমন্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল যে, মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী, রিনিকি ভুঁইয়া শর্মা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। অভইযোগ, তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্তের স্ ও ছেলের সংস্থার ব্যবসায়িক অংশীদাররা বাজার চলচি দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে পিপিই কিট এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহের বরাত পেয়েছিল। এক্ষেত্রে সঠিক টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগগুলি ন্যাশনাল হেলথ মিশন থেকে আরটিআই-য়ের জবাবে ভিত্তি লেখা।
আপ নেতা তথা দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, অসম সরকার একটি সংস্থা থেকে ৬০০ টাকায় পিপিই কিট কিনছিল। কিন্তু হিন্ত বিশ্ব শর্মার স্ত্রী এবং ছেলের ব্যবসায়িক অংশীদারদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলিকে প্রতি পিস পিপিই কিটের জন্য ৯৯০ টাকা দেওয়া হয়। সিসোদিয়া বলেছিলেন, 'বিজেপি বিরোধী রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি নিয়ে অনেক কথা বলে, কিন্তু আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই যে তারা এই (পিপিই কিট সরমার মামলা) দুর্নীতি খতিয়ে দেখবেন কি?"
সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় জৈনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাকে "বোগাস" বলে অভিহিত করেছিলেন সিসোদিয়া।
উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগের পরপরই সিসোদিয়াকে আক্রমণ শানায় হিমন্ত। জানান যে তিনি দি্লির মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন। হিমন্তের দাবি, তাঁর স্ত্রীকে পিপিইতিনি কিটগুলি দান করেছিলেন এবং এক টাকাও নেননি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, 'সমগ্র দেশ যখন শতাব্দীর সবচেয়ে খারাপ মহামারির মুখোমুখি হয়েছিল, তখন অসমে খুব কমই পিপিই কিট ছিল। আমার স্ত্রী সেই সময় সাহস করে এগিয়ে এসেছিলেন এবং জীবন বাঁচানোর তাগিদে সরকারকে প্রায়১৫০০ কিট বিনামূল্যে দান করেছিলেন।'