উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, গুজরাটের পর কি এবার হিমাচল প্রদেশের পালা? গত ছয় মাসে তিন রাজ্যে চারবার মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে। কয়েক দিন আগেই পদত্যাগ করেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। তার মধ্যেই এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার রাজধানী সফর ঘিরে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীকে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। জয়রাম ঠাকুর এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার দিল্লিতে গিয়েছেন। তা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, আসন্ন উপনির্বাচন ঘিরে দলের রণনীতি জানতেই দিল্লিতে হাইকম্যান্ডের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জয়রাম। গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি হিমাচলের রাজ্য হিসাবে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে রাষ্ট্রপতি-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জয়রাম। এরপর গতকাল তিনি ফের দিল্লিতে যান। তাতেই জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। কানাঘুষো চলছে, হাইকম্যান্ডের তলবেই ফের দিল্লি গেছেন তিনি। সম্ভবত তিন রাজ্যের মতো হিমাচলেও মুখ্যমন্ত্রী বদল হতে পারে।
এক শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজধানীতে এসেছিলেন উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে। বিরোধী কংগ্রেসকে প্রতিহত করতে রণনীতি তৈরি করতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে কোন্দল সামাল দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা ফ্যাক্টরকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। সেগুলি নিয়েই আলোচনা করতে তিনি দিল্লি এসেছিলেন।
আরও পড়ুন এবারও হাতছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর মসনদ, সান্ত্বনা খুঁজছেন গুজরাটের নীতীন প্যাটেল
তবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সূত্রে খবর, জয়রাম ঠাকুরের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনও ভয়ের কারণ নেই। কিন্তু বিজেপির কিছু রাজ্য নেতা চাইছেন, জয়রামকে সরানো হোক। সাংগঠনিক বৈঠকের আগে পদত্যাগের জল্পনায় জল ঢেলে পাল্টা কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন জয়রাম। তাঁর দাবি, এই দিল্লি সফর ২০ দিন আগেই নির্ধারিত ছিল। আচমকা তিনি কোনও তলব পাননি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন