বিধানসভা ভোট আবহে শনিবার ব্যস্ত কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর। এদিন প্রথমে বাংলায় ও পরে অসমে জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদী। পড়শি রাজ্যের চা শ্রমিক অধ্যুষিত চাবুয়া জেলার জনসভায় ফের চা-ওয়ালা প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একজন চা-ওয়ালা আপনাদের বেদনা বুঝবে না ত কে বুঝবে?’ এদিন কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে নাম না করে কটাক্ষ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘অসম আর তার চা-কে কুখ্যাত করতে কয়েকজন হাত মিলিয়েছেন।‘
এদিকে, শনিবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে অসম কংগ্রেস। ‘মানুষের ইস্তেহার’, নাম দেওয়া হয়েছে এই ইস্তেহারকে।
এদিকে, ভোটমুখী বাংলায় প্রচারে ফের রাজ্যে এসে প্রচার করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। খড়গপুরে বিজেপি প্রার্থী হিরণের সমর্থনে প্রচার করেছেন নমো। গোটা প্রচারজুড়েই মমতা সরকারের গত ১০ বছরের জমানাকে নিশানা করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘দিদির পার্টি হচ্ছে নির্মমতার পাঠশালা। যার সিলেবাস হল দুর্নীতি-তোলাবাজি-কাটমানি-সিন্ডিকেট।’ এছাড়াও খড়গপুরে যুব তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘দেশের সিঙ্গেল উইনডো সিস্টেম চালুর দিকে এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে অন্যকিছু চলছে। বাংলায় সিঙ্গেল ইউনডো মানে ভাইপো উইনডো। যা এড়িয়ে কোনও কাজ সম্ভব নয়।’
কী বললেন মোদী?
- ‘ভারতের স্বাধীনতায় সাঁওতাল আন্দোলন বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এই ভূমির। আমি এই ভূমিকে প্রণাম জানাই। মা সারদার আর্শীবাদে ধন্য এই ভূমি।’
- ‘আপনাদের চেহারাই বলে দিচ্ছে এবার বাংলায় বিজেপি সরকার।’
- ‘খড়গপুরের ভূমিতে মিনি ভারতের ঝলক মেলে।’
- ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যতরে জন্য এখানে ১৩০ জন কার্যকতা জীবন উৎসর্গ করেছেন। কেন বলছি বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, কারণ, আমাদর দলের কাছে দিলীপ ঘোষের মতো নেতা আছেন। দিলীপের উপর অনেক হামলা হয়েছে। খুনের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তিনি নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছেন।’
- ‘খড়গপুর লম্বা স্টেশন, আইআইটি এই ভূমির গৌরব বাড়িয়ে তুলেছে। এখানে আসল পরিবর্তনের বিশ্বাস দিতে এসেছি। তৃণমূল মানুষের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। ওদের গত ৭০ বছর সময় দিয়েছেন। আমাদের ৫ বথর সেবার সুযোগ দিয়ে দেখুন কীভাবে আমরা আসলপরিবর্তন নিয়ে আসব। আপনার জীবনে সব সমস্যা দূর করার জন্য আমরা দিনরাত পরিশ্রম করব। এখানে কৃষি ব্যবস্থা করা হবে। প্রতি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় দল পাঠানো হবে।’
- ‘দিদি উন্নয়ন-প্রোগতীর সামনে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। দিদি আপনাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। সেবার বদলে ১০ বছর ধরে লুঠেছে মমতা সরকার। কেন্দু পাতা তুলতেও কাটমানি দিতে হয়। কাটমানি সিস্টেম বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’
- ‘জনসংঘের জন্মদাতার নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এই বাংলার পুত্র সে। বিজেপির ডিএনএ ডঃ আশুতোষ ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আচর-বিচার-সংস্কার আছে।’
- ‘যেখানে বিজেপি রাজ্যে সরকার আছে, সেখানে ডবল ইঞ্জিনের সরকারে মানুষের সেবা করা হচ্ছে।’
- ‘গতকাল ৫০-৫৫ মিনিটের জন্য হোয়াটঅ্যাপ ডাউন হয়েছিল। কিন্তু বাংমলায় গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে উন্নয়নের গতি ডাউন হয়ে গিয়েছে।’
- ‘দিদি বাংলার যুবকদের ১০ বছর ছিনিয়ে নিয়েছে। দিদির পার্টি হচ্ছে নির্মমতার পাঠশালা। দিদির পাঠশালার সিলেবাস হল দুর্নীতি-তোলাবাজি-কাটমানি-সিন্ডিকেট।’
- ‘গোটা দেশে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির প্রশংসা হচ্ছে। কিন্তু বাংলার দিদি তার বিরোধীতায় ব্যস্ত।’
- ‘দিদি বলছেন খেলা হবে। কিন্তু গোটা বাংলা বলছে এবার খেলা বন্ধ হবে।’
- ‘কেন আমফানের টাকা পাওয়া গেল না? কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বাংলার গরীব মানুষ পেলেন না? জিজ্ঞাসা করলেই দিদি রেগে যাচ্ছেন। প্রশ্ন করলেই জেলে ভরে দিচ্ছিন, অত্যাচার চালাচ্ছেন।’
- ‘খড়গপুর সহ রাজ্যের অনেক শহরে আত্মনির্ভর ভারতের সম্ভাবনা আছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার সেটাও হতে দিচ্ছে না। দেশের সিঙ্গেল উইনডো সিস্টেম চালুর দিকে এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে অন্যকিছু চলছে। বাংলায় সিঙ্গেল ইউনডো মানে ভাইপো উইনডো, এই উইনডো এড়িয়ে কেউ কিচ্ছু করতে পারেন না। তৃণমূলের আমলে সব উদ্যোগ বন্ধ হয়েছে। একটাই উদ্যোগ চলছে। সেটা হল মাফিয়া উদ্যোগ। এর শেষ করতে হবে।’
- ‘২০১৮ সালে পঞ্চায়েতের নির্বাচনে যেভাবে হয়েছে, তা সবাই দেখেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের মনে রাখা উচিত, সংবিধানের বাইরে কিছু নেই।’
- ‘খড়গপুর সহ বাংলার সার্বিক উন্ননে ডবল ইঞ্জিনের প্রয়োজন। তাই বিজেপিকে জেতান।