ফের বিহারে একক বৃহত্তম দল আরজেডি। পাঁচ এআইএমআইএম বিধায়কের মধ্যে চার জনই যোগ দিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলে। যার ফলে ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় আরজেডির বিধায়ক সংখ্যা ফের বেড়ে হল ৮০। এতে বিহার রাজনীতির বিরাট অদলবদল না-ঘটলেও আরজেডির নেতাকর্মীরা মানসিকভাবে চাঙ্গা হলেন অনেকটাই।
বুধবার যে এআইএমআইএম বিধায়করা আরজেডিতে যোগ দিয়েছেন তাঁর হলেন- কোচাদামামের বিধায়ক মহম্মদ ইজহার আসফি, জোকিহাটের বিধায়ক শাহনওয়াজ আলম, বাইসির বিধায়ক সৈয়দ রুকনুদ্দিন ও বাহাদুরগঞ্জের বিধায়ক আজহার নইমি। কেবলমাত্র যোগ দেননি এআইএমআইএমের রাজ্য সভাপতি বিধায়ক আখতারুল ইমান। তিনি অতীতে আরজেডিতে ছিলেন। কিন্তু, এবার আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সঙ্গে ছাড়তে রাজি হননি।
এই চার বিধায়ক যোগ দেওয়ার আগে বিহার বিধানসভায় আরজেডির বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭৬। আগে আরজেডিই ছিল বিহারের একক বৃহত্তম দল। কিন্তু, তিন মাস আগে বিকাশশীল ইনসান পার্টির তিন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। তার ফলে বিহার বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে হয় ৭৭। তার জেরে গত তিন মাস ধরে বিজেপিই ছিল বিহারের একক বৃহত্তম রাজনৈতিক দল।
বুধবার নতুন বিধায়কদের দলে স্বাগত জানান বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা আরজেডির বিধায়কদলের প্রধান তেজস্বী প্রসাদ যাদব। তিনি বলেন, 'AIMIM ছেড়ে আসা এই চার বিধায়ককে RJD-তে স্বাগত। তারা RJD-কে আরও শক্তিশালী করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এই চার বিধায়কই আমাদের দলের সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মনিরপেক্ষতার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবেন। আমরা বরাবরই বিহারের সীমান্ত জেলাগুলোর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমাদের দলের সীমান্ত জেলাগুলোয় ভালো প্রভাব রয়েছে। সেই প্রভাব আরও বাড়বে বলেই আমাদের আশা।'
আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার আস্থাভোট না-হলে আকাশ ভেঙে পড়বে না, জোরালো সওয়াল শিবসেনার আইনজীবী সিংভির
বর্তমানে বিহার বিধানসভায় আরজেডির নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ১১৫ জন বিধায়ক আছে। তার মধ্যে ১৯ বিধায়ক রয়েছে কংগ্রেসের। ১৬ জন বিধায়ক রয়েছে সিপিআই(এমএল) এবং সিপিআইয়ের। তবে, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য এই মহাজোটের এখনও সাত জন বিধায়ক দরকার। অন্যদিকে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের ১২৭ বিধায়ক রয়েছে। ২০২০ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এআইএমআইএম ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তার মধ্যে তারা পাঁচটি আসনে জয়ী হয়। মুসলিম অধ্যুষিত সীমাঞ্চলের চার জেলা আরারিয়া, পূর্ণিয়া, কাটিহার ও কিষাণগঞ্জে ভালো প্রভাব তৈরি করেছে এআইএমআইএম।
Read full story in English