কথায় বলে, আশায় বাঁচে চাষা। কৃষিপ্রধান দেশ ভারত। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এলে 'অচ্ছে দিন' এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মোদীকে জিতিয়ে প্রধানমন্ত্রী করেছেন দেশবাসী। ফের ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের জন্য লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বিজেপি ফের ক্ষমতায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সেই নরেন্দ্র মোদী। তাঁর 'অচ্ছে দিন'-এর প্রতিশ্রুতির ধাপ হিসেবে 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'র স্বপ্নও দেখিয়েছেন। তাহলে, 'অচ্ছে দিন' তো চলেই এল!
এবার তাহলে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টটা একবার দেখে নেওয়া যাক। এই রিপোর্ট বলছে, ভারত আছে ১৩৬ নম্বরে। বিশ্বের ১৩৯টি দেশের মধ্যে সুখের মাপকাঠির বিচারে এটাই ভারতের স্থান। এবছর তো কেবল তিন মাস হয়েছে। সুতরাং, নিশ্চিত রূপে জেনে রাখুন এটা গতবছরের রিপোর্ট, ২০২১ সালের। বছর শেষ হওয়ার পর তার রিপোর্ট তৈরি হয়। সেই অনুযায়ী, এটাই ইউনাইটেড নেশনস সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের সর্বশেষ রিপোর্ট। যা বলছে ভারত পিছনের দিক থেকে রেকর্ড করার কাছাকাছি আছে। সোজাকথায়, বিশ্বের অসুখী দেশগুলোর অন্যতম আমাদের এই 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'।
তবে, এনিয়ে আবার খুব বেশি দুঃখ পাবেন না। কারণ, আমাদের দেশ নিকটতম দেশ হিসেবে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানকে টেক্কা দিতে পেরেছে। তালিবান জঙ্গিদের শাসিত আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ। যেখানে তালিবান জঙ্গিরা ক্ষমতায় আসার কয়েক মাসের মধ্যে প্রকাশ্যে দাসপ্রথা চালু হয়ে গিয়েছে। বহু দরিদ্র পরিবার খিদের জ্বালায় তাদের শিশুকন্যাদের বিক্রি পর্যন্ত করে দিচ্ছে। এই রিপোর্ট বলছে, অনেক ব্যাপারে পিছিয়ে থাকলেও আমাদের এই 'অচ্ছে দিন'-এর ভারতকে সুখের বিচারে টেক্কা দিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশী ক্ষুদ্র রাষ্ট্র নেপাল। শুধু টেক্কাই দেয়নি, তারা আছে ভারতের থেকে অনেকটা আগে, ৮৪ নম্বরে।
তার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তালিকায় তাদের নম্বর ৯৪। তারও বেশ কিছুটা দূরে আছে পাকিস্তান। তাদের নম্বর ১২১। নেপাল-বাংলাদেশের নম্বর যেমন পরস্পরের কাছাকাছি, তেমনই পাকিস্তানের একটু পরেই আছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। তালিকায় তাদের নম্বর ১২৭।
Read story in English