Advertisment

নতুন আইনে মাসুদ আজহার এবং হাফিজ সইদকে 'সন্ত্রাসবাদী' আখ্যা দিতে পারে ভারত

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বিলটি পাশ হয়ে গেলে সন্ত্রাসী হিসেবে হাফিজ সইদ এবং মাসুদ আজহারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করা সহজ হবে এবং তাঁদের ভ্রমণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা (ট্রাভেল ব্যান) জারি করা যাবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hafeez saeed mastermind of mumbai blast

মুম্বাই সন্ত্রাস হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী কার্যকর হলেই হাফিজ সইদ ও মাসুদ আজহারকে প্রথমেই 'সন্ত্রাসবাদী' হিসেবে সরকারি সিলমোহর দেওয়া যাবে এমনটাই জানা আধিকারিকদের সূত্রে। উল্লেখ্য, সংশোধিত ইউএপিএ ২০১৯ বিলটি লোকসভায় পাশ হয়ে গেলেও, রাজ্যসভায় তা এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বিলটি পাশ হয়ে গেলে সন্ত্রাসী হিসেবে হাফিজ সইদ এবং মাসুদ আজহারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করা সহজ হবে এবং তাঁদের ভ্রমণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা (ট্রাভেল ব্যান) জারি করা যাবে।

Advertisment

আরও পড়ুন, রাজ্যের ভাঁড়ারে টাকা নেই, সরব মমতা

২৬/১১ মুম্বাই সন্ত্রাস হামলার মূলচক্রী ছিল হাফিজ সইদ। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক পুলওয়ামা হামলা এবং ২০০১ সালের সংসদ হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদ আজহার। রাজ্যসভায় এই বিলটি পাশ হয়ে গেলেই সরকারিভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করা হবে এই দুই অভিযুক্তকে, এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে মিল রেখে এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের রীতির মেনেই এই আইনটি প্রস্তাবিত হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদনের পরেই এই দু'জনকে সরকারিভাবে সন্ত্রাসীর তকমা দেওয়া হবে। যদিও আইন অনুযায়ী, একজনকে সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষণা করা হলে সে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে আবেদন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে সেই আবেদন সবরাষ্ট্র সচিবকে ৪৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষিত হওয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চায়, তাহলে সে রিভিউ কমিটির দ্বারস্থ হতে পারে। এই কমিটি সাধারণত তৈরি হয় একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং কমপক্ষে দুজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবকে নিয়ে। একবার যদি কোনও ব্যাক্তিকে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, সেক্ষেত্রে সরকারের তরফে সেই ব্যক্তির যাবতীয় সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। তবে, এই প্রস্তাবিত আইনের আওতায় ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যখন বিলটি সংসদে পাস হবে। শুধু তাই-ই নয় রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার পরেই এটি আইনে পরিণত হবে।

আরও পড়ুন: সারদাকাণ্ডে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সিবিআই তলব

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, গত ১৫ বছরে ৪২ টি সংগঠনকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ ক্ষেত্রে হায়দরাবাদের ইসলামিক ধর্মীয় সংগঠনের প্রধান দিনদার অঞ্জুমান এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারের কাছে আবেদন করেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যখন বিষয়টিতে ফের নিশ্চয়তা দেওয়া হয় তখন সরকারের বিরুদ্ধে কোনও আপত্তি জানায়নি দিনদার অঞ্জুমানের সংগঠনটি। প্রসঙ্গত, বুধবারেই লোকসভায় পাশ হয় ‘বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইন ২০১৯’ বা ইউএপিএ সংশোধনী বিল। লোকসভায় ইউএপিএ আইন পেশ করার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনের অপব্যবহার রুখতেই এই সংশোধন আনা হচ্ছে। বিরোধী কংগ্রেস অবশ্য এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লোকসভার অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে। বিরোধীদের দাবি ছিল প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হোক। সংশোধিত বিল অনুযায়ী, শুধুমাত্র কোনও গোষ্ঠী বা সংগঠনই নয়, প্রয়োজনে কোনও ব্যক্তিকেও সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে কেন্দ্র।

Read the full story in English

Govt of India
Advertisment