ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তীব্র সমালোচনা করায় পালটা কটাক্ষ শুনতে হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। তা-ও খোদ বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শংকরের থেকে। নাম উল্লেখ না-করে কয়েকজন ইউরোপীয় কূটনীতিকের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সব ইউরোপীয় কূটনীতিকের মন্তব্যের মাধ্যমে অভিযোগ করেছিলেন, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এখন বদলে গেছে। অহংকারী হয়ে উঠেছে বিদেশ মন্ত্রক।
এর আগে বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অহংকারী বলে কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীর অতিনির্ভরযোগ্য জয়ংশকরের মন্ত্রকের সমালোচনা করে রাহুল যে আসলে মোদীকেই আক্রমণ করেছেন, সেকথা বুঝতে কেন্দ্রীয় শাসকদলের দেরি হয়নি। তবে, যেহেতু মন্ত্রকের সমালোচনা, তা-ই জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী নিজেই। তিনি নিজে প্রাক্তন বিদেশসচিব। বিদেশ মন্ত্রকের আগাপাশতলা তাঁর নখদর্পণে। তাই জয়শংকরকেই দিয়েই যে রাহুলকে জবাব দেওয়ানো উচিত, সেই ব্যাপারে দ্বিমত হননি বিজেপি নেতৃত্বও। শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সরকারের শীর্ষস্তরের ঈশারায়, যথারীতি জয়শংকরও রাহুলের কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন রীতিমতো স্টেপ আউট করে। বলেছেন, 'হ্যাঁ, সত্যিই বিদেশ মন্ত্রক বদলে গেছে। এখন বিদেশ মন্ত্রক দেশের স্বার্থরক্ষা করে। বর্তমানে বিদেশ মন্ত্রক সরকারের কথা মানে। অন্যদের অভিযোগের জবাব দেয়। না, এটাকে ঔদ্ধত্য বলা যায় না। এটাকে আত্মবিশ্বাস বলে। আর, এটাকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা বলে।'
আরও পড়ুন- ব্রাহ্মণ শরণে শরদ পাওয়ার, কেন NCP প্রধানের এহেন পদক্ষেপ?
এর আগে লন্ডনে, 'ভারতের সম্পর্কে ধারণা' শীর্ষক এক সম্মেলনে রাহুল যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। অভিযোগ করেন যে ভারতে এখন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আক্রমণ চলছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করছে এক সংগঠন। এই আলোচনামূলক অনুষ্ঠানে বিদেশ মন্ত্রকের সমালোচনা করেন রাহুল। তিনি বলেন, 'আমি ইউরোপের কয়েকজন আমলার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলছিলেন, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সম্পূর্ণ বদলে গেছে। তারা এখন কারও কথা শোনে না। তারা ভীষণ উদ্ধত। কোনও কথাবার্তা বলে না।'
Read full story in English