বিজেপির উল্টো সুর শরিক জনতা দল ইউনাইটেডের। 'ধর্মান্তকরণ' বিরোধী আইন দেশে 'বিদ্বেষ' ছড়াবে ও সমাজকে 'বিভক্ত' করবে বলেই মনে করেন নীতীশ কুমারের দলের শীর্ষ নেতা। অন্য ধর্মে বিয়ে রুখতে বিজেপি শাসিত একের পর এক রাজ্য যখন কঠোর আইন আনছে তখন বিহারের বিজেপি শরিক দলের উল্টো অবস্থান তাৎপর্যবাহী।
জেডিইউ-য়ের রাষ্ট্রীয় এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক বসেছে দিল্লিতে। সেখানেই সাংবাদিকদের কে সি ত্যাগী বলেছেন, 'লাভ জিহাদের নামে বিদ্বেষ ও সমাজে ভাগাভাগির আবহ তৈরি করা হচ্ছে।' কে সি ত্যাগীর কথায়, 'সাবালোক নর-নারীকে নিজের ইচ্ছামতো বিয়ে ও ধর্ম পালনের অধিকার ভারতীয় সংবিধান ও সিআরপিসি দিয়েছে।'
মূলত অতি ডানপন্থীরাই 'লাভ জিহাদ' শব্দের প্রয়োগ করে থাকেন। বিয়ের নামে হিন্দু মেয়েদের মুসলিম ধর্মে জোর করে ধর্মান্তকরণকেই এক্ষেত্রে 'লাভ জিহাদ' বলে অভিহিত করা হয়।
সমাজবাদীরা ডাঃ রাম মনোহর লোহিয়ার আমল থেকেই ধর্ম, বর্ণ জাতি নির্বিশেষে প্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়ের অধিকারকে সমর্থন করেছে বলে দাবি জেডিইউ নেতার।
উল্লেখ্য, গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের পথে হেঁটে লাভ জিহাদ বিলের খসড়া অনুমোদন করেছে মধ্যপ্রদেশের রাজ্য মন্ত্রিসভা। এই নয়া বিলে আইনে পরিণত হলে জোর করে ধর্মান্তরিত করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জন্য কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
লাভ জিহাদ সংক্রান্ত উত্তরপ্রদেশের অধ্যাদেশের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের লাভ জিহাদ বিলের খসড়ার মিল রয়েছে। তবে, উত্তরপ্রদেশের অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। মামলায় এই অধ্যাদেশ মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে দাবি করা হয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন