জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পর্কিত চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করল ডিলিমিটেশন কমিশন। বৃহস্পতিবার এসম্পর্কিত গেজেট প্রকাশ করা হয়। উপত্যাকার মোট ৯০টি বিধানসভার মধ্যে ৪৩টি জম্মুর এবং বাকি ৪৭টি কাশ্মীরের। কমিশনের প্রস্তাবে জম্মু ও কাশ্মীরে তফসিলি জাতিদের জন্য ৯টি এবং তফসিলি উপজাতিদের জন্য ৭টি আসন ছিল। যার উল্লেখ, চূড়ান্ত তালিকাতেও রয়েছে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা এবং সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য এই ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও, অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এই কমিশনের পদাধিকারী। এছাড়াও, প্যানেলের অন্য পাঁচজন সহযোগী সদস্য হলেন- ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ ফারুক আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ আকবর লোন এবং হাসনাইন মাসুদি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং এবং বিজেপির যুগল কিশোর শর্মা। করোনাকালে এই কমিশনের কাজে শ্লথ হয়। ফলে বাড়তি সময় দেয় আদালত। গত ডিসেম্বরে কমিশনের রূপরেখা অনুযায়ী খসড়াটি স্থির করা হয়েছিল। যা এদিন চূড়ান্ত হয়। যদিও রাজ্যের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এর বিরোধিতা করেছে।
উপত্যাকায় মোট পাঁচটি সংসদীয় আসন রয়েছে। ডিলিমিটেশন কমিশন জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলকে একক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে দেখেছে। অতএব, উপত্যকার অনন্তনাগ অঞ্চল এবং জম্মু অঞ্চলের রাজৌরি এবং পুঞ্চকে একত্রিত করে একটি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা তৈরি করা হয়েছে। এই পুনর্গঠনের মাধ্যমে, প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় সমান সংখ্যক ১৮ বিধানসভা কেন্দ্র থাকবে।
স্থানীয় প্রতিনিধিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, 'জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন ২০১৯ এর ধারা ১৪-এর উপ-ধারা (৬) এবং (৭) বিবেচনা করে, তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভায় তফসিলি জাতি(এসসি) এবং তফসিলি উপজাতি (এসটি) ২০১১ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছিল। তদনুসারে, ডিলিমিটেশন কমিশন প্রথমবার তফসিলি উপজাতিদের জন্য ৯টি এবং তফসিলি জাতিদের জন্য ৭টি আসন সংরক্ষিত করেছে৷'
উপত্যকার দুই রাজনৈতিক দল হল ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি। মেহেবু মুফতির নেতৃত্বাধীন পিডিপি ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে বয়কট করেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি অভিযোগ করেছিলেন যে কমিশন 'বিজেপির স্বার্থে কাজ করছে।' অন্যদিকে ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রথমে কমিশনের সমগ্র প্রক্রিয়া বয়কট করেছিল। তবে গত বছরের শেষের দিকে তারা আবার যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এনসি সাংসদরা আবার বর্তমান অবস্থায় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন।
Read in English