মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়লেন কমল নাথ। বৃহস্পতিবার তিনি ইস্তফা দেন। দল তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণও করেছে। জানিয়েছে, নাথের জায়গায় ড. গোবিন্দ সিং মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দলনেতার পদ সামলাবেন। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল চিঠিতে কমলনাথকে লিখেছেন, 'আপনাকে জানাতে চাই যে মাননীয় কংগ্রেস সভানেত্রী মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেস দলের নেতার পদ থেকে আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। কংগ্রেস পরিষদীয় দল ও কংগ্রেস পার্টি মধ্যপ্রদেশের নেতা হিসাবে আপনার অবদানের আন্তরিকভাবে প্রশংসা করছে।'
২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর কমল নাথ প্রায় ১৫ মাস মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে, এরপর বেশ কয়েক জন বিধায়কদের পদত্যাগের পরে মধ্যপ্রদেশে শুরু হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। এর পর, ২০২০ সালের মার্চ মাসে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটে। নাথ তারপরে ২০২০ সালের জুলাইয়ে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দলনেতার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি কংগ্রেস গোয়া, মণিপুর, পঞ্জাব-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে। এরমধ্যে পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির কাছে কংগ্রেস পরাজিত হয়েছে। এরপর ওই সব রাজ্যে তাদের নেতৃত্ব বদল করেছে কংগ্রেস। চলতি মাসের গোড়ায়, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে অমরিন্দর সিং ব্রার-কে দায়িত্ব দিয়েছেন। আর, প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ প্রতাপ সিং বাজওয়াকে পঞ্জাব বিধানসভায় কংগ্রেস দলের নেতা নিযুক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন- দু’বছর আগেই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ঘণ্টা বাজালেন জগনমোহন, শুরু প্রস্তুতি
অতীতে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে কমল নাথ সর্বভারতীয় রাজনীতিতে রীতিমতো পরিচিত মুখ ছিলেন। কিন্তু, সাম্প্রতিক অতীতে তাঁকে দিল্লির বদলে নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশেই বেশি মনোনিবেশ করতে দেখা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের একসময়ের অন্যতম স্তম্ভ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে কমল নাথের সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না। এমনই অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতাদের একাংশের। আর, সেই কারণে ক্ষুব্ধ জ্যোতিরাদিত্য তাঁর বাবার জমানা থেকে করে আসা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বলেই অভিযোগ করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্যর ঘনিষ্ঠরা।
Read story in English