প্রয়োজন হলে কর্নাটকেও যোগী মডেল অনুসরণ করা হবে। দলীয় কর্মীদের স্পষ্ট জানালেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। দলীয় কর্মীদের প্রাণহানি ঘটছে কর্নাটকে। প্রাণহানি ঘটেছে দলের যুবনেতা প্রবীণ নেত্তারুর। এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে চেপে ধরেছিলেন সংঘ ও বিজেপির প্রতিনিধিরা। তাঁদের এই চাপের মুখে বোম্মাইয়ের মুখে শোনা গেল যোগী মডেলের কথা।
দেশজুড়েই সুশাসনের মডেল হিসেবে বিজেপি মোদী-যোগী মডেলকে তুলে ধরেছে। সেই পথ ধরেই বোম্মাই জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁর সরকারও যোগী মডেল অনুসরণ করে বিশেষ কমান্ডো ইউনিট তৈরি করবে। পাশাপাশি, ইন্টারনাল সিকিউরিটি ডিভিশন (আইএসডি) এবং সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)ও তৈরি করা হবে। আর, এভাবেই যোগী মডেলে কর্নাটকের সুরক্ষা বাড়াতে চান তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন বোম্মাই।
তিনি বলেন, 'উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতির জন্য যোগী আদিত্যনাথই হলেন সঠিক মুখ্যমন্ত্রী। সেরকমই, কর্নাটকের পরিস্থিতি সামলাতে গেলে অন্য রাস্তা নিতে হবে। ইতিমধ্যেই তার সবরকম নেওয়া হয়েছে। যদি পরিস্থিতি চায়, কর্নাটকেও সরকার যোগী মডেলে চলবে।' দীর্ঘদিন ধরেই কর্নাটকে যোগী মডেল চাইছেন বিজেপি এবং সংঘ পরিবারের একাংশ। দলের কর্মীদের প্রাণহানি রুখতে যোগী মডেলই ভরসা বলে তাঁরা মনে করছেন। এই স্বয়ংসেবক ও কর্মীরা আইন-শৃঙ্খলার ব্যর্থতার জন্য বোম্মাই সরকারের কড়া নিন্দা করেছেন।
আরও পড়ুন- খ্রিস্টানদের মামলা নিয়ে গড়মসির অভিযোগ, ক্ষুব্ধ বিচারপতি চন্দ্রচূড় বললেন ‘সীমা থাকা দরকার’
বিজেপি ও সংঘের এই সব কট্টরপন্থী নেতাদের মতে, দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে যোগী সরকার যেভাবে বুলডোজার ব্যবহার করছে, সেই পদ্ধতি। পাশাপাশি, ইউপি পুলিশ গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে যেভাবে হত্যা করেছে, বিজেপি ও সংঘের কট্টরপন্থীরা তারও প্রশংসা করেছেন। আর, সেই কারণেই কট্টরপন্থীরা বোম্মাইকে কর্নাটকেও একই মডেল অনুসরণ করার কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার রাতে তাঁকে হত্যার সময় নিজের পোলট্রির দোকানের কাছেই ছিলেন বছর ৩২-এর ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কর্মী প্রবীণ নেত্তারু। তাঁর হত্যার পর বোম্মাই সরকারের বিরুদ্ধে সংঘ ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দলের রাজ্য সভাপতির গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। দাবি করা হয় দলের রাজ্য নেতৃত্বের পদত্যাগের।
Read full story in English