পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পর থেকে গোটা দেশের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মর্যাদা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতেই দেখা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে। তাঁর সেই কায়দা নকল করা শুরু করেছেন অন্য রাজ্যের নেতারাও। তাঁরাও তৃণমূল সুপ্রিমোকে নকল করে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন। শুধু উত্তর ভারতই নয়। সেই তালিকায় আগেই নাম লিখিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতের নেতারাও। তাঁরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অবিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোকে বঞ্চনার অভিযোগ তোলা শুরু করেছেন।
এই নেতাদের কেউ অবশ্য প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করছেন না। কিন্তু, তাঁদের আচার-আচরণই বলে দিচ্ছে যে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তাঁরা নকল করছেন। এমনটাই দাবি ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীদের। এই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের তালিকায় আছেন তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও। বৃহস্পতিবারও দেখা গেল তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। চন্দ্রশেখর রাও বললেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক-বিরোধী নীতি নিয়েছে। সেই নীতি চালু করা হয়নি বলে তেলেঙ্গানা পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর হারাচ্ছে। সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে আমরা ২৫ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছি। কেন্দ্রের নির্দেশমতো যদি মিটার বসিয়ে বিদ্যুতের দাম আদায় করতে পারতাম, তবে আমরাও এই টাকা পেতাম।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কায়দায় কেন্দ্র যে বিরোধী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বঞ্চনা করছে, সেই কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন চন্দ্রশেখর রাও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, 'দেশে এখন প্রায় প্রতিদিনই দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগেই থাকছে। হিংসার জন্য প্রায় প্রতিদিনই মানুষ জীবন হারাচ্ছে। যাঁরা দায়িত্বশীল, সেই নাগরিকরা এই পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের কর্মসংস্থান দরকার। প্রয়োজন জল, বিদ্যুত-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের।' হায়দরাবাদের পাবলিক গার্ডেনে তেলেঙ্গানা দিবস উপলক্ষে রাও একথা জানান।