পঞ্জাব দখলের পর আম আদমি পার্টি (আপ) যেন এখন ক্ষুধার্ত বাঘ। দিল্লি এবং পঞ্জাব, দেশের অন্যতম প্রধান দুটি রাজ্য এখন তাদের দখলে। দলনেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেই আনন্দে এখন গোটা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রত্যেক রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করছেন। উত্তরই হোক বা দক্ষিণের রাজ্য, কোনও বাছবিচার করছেন না। সব জায়গায় গিয়ে বলে বেড়াচ্ছেন, আগামী দিনে সেখানে তাঁর দল 'আপ'ই ক্ষমতায় আসবে। সেইমতো অঙ্ক কষে জোট গঠনও করছেন। তা-ও সব কম প্রচার পাওয়া বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে। জোট গঠনে গুরুত্ব দিচ্ছেন কৃষক এবং শ্রমিক সংগঠনকে।
এবার তিনি পা বাড়ালেন বামরাজ্য কেরলেও। সেখানেও রবিবার জোটের ঘোষণা করলেন আপ সুপ্রিমো। যে জোটের তিনি নাম দিয়েছেন 'পিপলস ওয়েলফেয়ার অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ)'। তবে কেরলে কিন্তু কোনও কৃষক, আদিবাসী বা শ্রমিক সংগঠন না। কেজরিওয়ালের দলের জোটশরিক পোশাক নির্মাতা সংস্থা কিটেক্স গ্রুপের সামাজিক সংগঠন 'টুয়েনটি২০'। কেরল ছাড়া এই নাম অন্য রাজ্যে তেমন পরিচিত নয়। তবে, জোটশরিক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমন আঞ্চলিক সংগঠনের ওপরই ভরসা রাখছেন আপ সুপ্রিমো। যে রীতি তিনি কেরলেও বজায় রাখলেন। এমনটাই দাবি আপ নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরি পণ্ডিতদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস পুলিশের, ক্ষোভ সামলাতে তদন্তের নির্দেশ প্রশাসনের
কিটেক্স গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাবু এম জ্যাকব। তিনি আবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টুয়েনটি২০-রও মুখ্য সংযোজক। আপ সুপ্রিমোর সঙ্গে মিলে জ্যাকব কোচির কাছে কিজক্কাম্বালামে রবিবার সভা করেন। সেই সভাতেই নতুন জোটের ঘোষণা করেছেন কেজরিওয়াল। শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জোট! এনিয়ে কেরলের অনেকে ইতিমধ্যে নাক সিঁটকোতে শুরু করেছেন বলে আম আদমি পার্টির অভিযোগ। তাঁদেরকে আপ নেতারা পালটা জানাচ্ছেন, আম আদমি পার্টির সূচনালগ্নের ইতিহাস। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা অন্না হাজারের নেতৃত্বে লোকপালের দাবি। সেই দাবি থেকেই ধীরে ধীরে আপের গড়ে ওঠা। আর, বর্তমানে দেশের দুই প্রধান রাজ্যে ক্ষমতায়। এমনটাই বলছেন আম আদমি পার্টির নেতারা।
Read full story in English