মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন জিইয়ে রাখলেও বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে বাবার জেলমুক্তি দেখতে পারছেন না তেজস্বী যাদব। সব প্রচার সভায় তাঁর বিখ্যাত উক্তি, ৯ তারিখ লালুর রেহাই আর ১০ তারিখ নীতীশের বিদাই, এটা কার্যত হচ্ছে না কারণ, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দুমকা ট্রেজারির মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। শুক্রবার ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট নভেম্বর ২৭ তারিখ পর্যন শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে। সিবিআই লিখিত উত্তর দিতে বিলম্ব করায় মামলার শুনানি পিছিয়েছে।
এর ফলে দীর্ঘ চার দশক পর কোনও নির্বাচনের ফলাফলের সময় লালু প্রসাদ যাদব বিহারে থাকবেন না। শেষ দফার নির্বাচনের আগে যা রীতিমতো ধাক্কা আরজেডি শিবিরে। এই মামলার শুনানি ছিল ৯ নভেম্বর। যদি তিনি সেদিন জামিন পেতেন তাহলে ১০ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণার দিন তিনি বিহারে থাকতে পারতেন। তবে সে গুড়ে বালি। লালুর বিরুদ্ধে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চারটি মামলায় তিনটিতে জামিন দিয়েছে আদালত। শুধু দুমকা ট্রেজারি মামলার রায় ঘোষণা বাকি।
আরও পড়ুন শেষ দফায় পাল্লা ভারী তেজস্বীদের, এনডিএ-র কাঁটা মুসলিম ভোটব্যাংক
লালুর আইনজীবী প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর মক্কেল অর্ধেক শাস্তি ভোগ করে ফেলেছেন। কিন্তু লালুর শারীরিক অবস্থা ও বয়সের কথা চিন্তা করে এবার তাঁকে জামিন দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু সিবিআই এর বিরোধিতা করে আদালতে জানিয়েছে, লালুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে জবাব দিতে আর একটু সময় চাই। সিব্বলের অভিযোগ, সিবিআই ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে এই মামলায়। এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে মন্তব্য তাঁর।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন