সঙ্গীতের ক্ষেত্র ছেড়ে বছর ছয়েক রাজনীতির অলিন্দেও বিতরণ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। বিজেপির সমর্থনে ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য ছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী। তবে, সাংসদ হিসাবে কোনও পারিশ্রমিত বা ভাতা গ্রহণ করেননি তিনি। একটি আরটিআই-য়ের ভিত্তিতে এই তথ্য জানাজানি হয়। সাংসদ থাকাকালীন অ্যাকাউন্টস অফিস থেকে যে পরিমাণ অর্থ লতা মঙ্গেশকরের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল তা সবই ফেরৎ দিয়ে দিয়েছেন শিল্পী।
পাৎিস্রমিক না নেওয়ার কারণে তারিফ কুড়োলেও অবশ্য গোটা মেয়াদে মাত্র কয়েকবারই রাজ্যসভার অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন লতা। পরিসংখ্যানের নিরিখে ছয় বছরের মেয়াদকালীন মাত্র ১২ বার রাজ্যসভায় হাজির হয়েছিলেন তিনি, তাও সম্পূর্ণ দিবসের জন্য নয়।
ছয় বছরের মেয়াদে রাজ্যসভায় মাত্র একটি প্রশ্ন করেছিলেন সাংসদ লতা মঙ্গেশকর। ২০০০ সালের শুরুতে ট্রেনের লাইচ্যূত হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়টি তোলেন তিনি। সরকার সমস্যা সমাধানে কী পদক্ষেপ করেছিল তাও জানতে চান তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে লতা বলেছিলেন, 'যাইহোকনা কেন আমার রাজ্যসভার যাত্রা আনন্দদায়ক। আমি সংসদে অন্তর্ভুক্ত হতে অনিচ্ছুক ছিলাম। আসলে, আমি বহুবার রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়তে চেয়ে অনুরোধ করেছিলাম… আমি রাজনীতি সম্পর্কে কী জানতাম?' রাজ্যসভায় যে তিনি বেমানান ছিলেন তাও স্বীকার করেছিলেন প্রাখ্যাত এই শিল্পী।
তাঁকে সাংসদ পদ দেওয়ার জন্য এল কে আডবাণী, অটল বিহারী বাজপেয়ীরপ্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর।
শিল্পীরা যেসব সংস্যার মুখোমুখি হন তা সংসদে উত্থাপণ করেননি লতা। কেন? জবাবে লতা জানিয়েছিলেন, 'আমি বিনোদন জগতের লোক নই, ফলে তাঁদের সমস্যা জেনে তা তুলে ধরার জন্য যোগ্য ছিলাম না। আমি সঙ্গীত শিল্পী। হয়তো রেখাজি সাংসদ হিসাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।'
Read in English