আসন্ন গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছে না লুইজিনহো ফেলেইরো। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বদলে ফাতোরদা বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে জোড়া-ফুল প্রতীকে লড়াই করবেন তরুণ আইনজীবী শেইলা অভিলিয়া। শুক্রবার তৃণমূলের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
এবার সৈকত রাজ্য গোয়ার ভোটকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংগঠন বিস্তারের কাজ এগোচ্ছে। গোয়ায় 'নতুন ভোর'রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ভোটের প্রচারে যাবেন খোদ দলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে গোয়ায় তৃণমূলের প্রধান মুখ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস ছেড়ে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফেলেইরো। অভইষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে নিয়েছিলেন ঘাস-ফুলের পতাকা। পরে তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়। এরপর অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে আসনে তৃণমূলের সাংসদও হন তিনি।
গোয়ায় ভোট ঘোষণার পর ফাতোরদা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে লুইজিনহো ফেলেইরোর নাম ঘোষণা করা হয়। গোয়ার নির্বাচনে তৃণমূলের ইস্তাহার কমিটির প্রধানও লুইজিনহো ফেলেইরো। দলীয় সূত্রে গুঞ্জন উঠেছিল যে, ওই কেন্দ্র থেকে লড়তে আগ্রহী নন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, নভেলিন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৮০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাতবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
তাহলে কী কেন্দ্র পছন্দ হয়নি বলেই গোয়ার ভোট থেকে সরলেন ফেলেইরো? জবাবে তিনি বলেছেন, 'সংগঠনের জন্য কাজ করব। আমি আমার সিদ্ধান্ত দলের সর্বভারতীয় চেয়ারপার্সনকে জানিয়েই ঘোষণা করেছি। ফাতোরদা কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন একজন তরুণ মুখ। দলের নারী ক্ষমতায়ণের নীতি মেনেই শেইলা অভিলিয়াকে প্রার্থী করা হয়েছে।'