মঙ্গলবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা নিয়ে শুরু হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ভোট গণনা। প্রথম দিকে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও চলছিল। বেলা বাড়তে থাকলে পাল্লা ক্রমেই ভারী হতে থাকল কংগ্রেসের দিকে। রাজ্যের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা হাওয়া বুঝে ঘোষণা করেছেন বিএসপি-র সমর্থন চাই না। কংগ্রেস একাই সরকার গড়তে চাইছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, এই বিধানসভায় মধ্যপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের কোনোটিতেই মায়াবতীর সঙ্গে প্রাক-নির্বাচনী জোটে যায়নি কংগ্রেস। বিএসপি প্রধান জানিয়েছিলেন বিধানসভা নির্বাচনে আসন রফায় যাবেনা তাঁর দল। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভায় আসন রফার পথ খোলাই রেখেছিলেন বিএসপি সুপ্রিমো। তবে লোকসভা নির্বাচনের মাস পাঁচেক আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ফলাফল কিন্তু অনেকটাই পালটে দিতে পারে ক্ষমতার সমীকরণ।
আরও পড়ুন, Assembly Election Results 2018 Live: মধ্যপ্রদেশে মসনদ কার?
সোমবার মধ্যপ্রদেশের এক বিএসপি বিধায়ক নিজেই জানিয়েছিলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে কেউই ক্ষমতায় আসতে পারবে না এ রাজ্যে। সেক্ষেত্রে জোট গড়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হলে বিজেপির চেয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধতেই আগ্রহী হবেন মায়াবতী। কিন্তু জোট ছাড়াই রাজ্যে সরকার গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ।
মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছে, সে ব্যাপারে একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গিয়েছিল বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই। তবে আসন্ন লোকসভায় আঞ্চলিক দলের প্রাধান্য যতটা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছিল এতদিন, বিধানসভার নির্বাচনী ফলাফলের ট্রেন্ড কিন্তু সেরকম ইঙ্গিত দিচ্ছে না।
মধ্যপ্রদেশে আসনের দিক থেকে বিজেপি-র ক্রমশ পিছিয়ে পড়া প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং অবশ্য বলছেন, "এখনও কোনো মন্তব্য করার সময় আসেনি"।