করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য একমাত্র নির্বাচন কমিশন দায়ী। এভাবেই এদিন ভোট প্রচারে কমিশনের উদাসীনতায় তীব্র ভর্ৎসনা করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, 'খুনের দায়ে কমিশনের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত। যখন ভোট প্রচার চলছিল, আপনারা কি ঘুমোচ্ছিলেন? কোভিড বিধি নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন।'
তাঁর হুঁশিয়ারি, 'ভোট গণনায় করোনা বিধি আরোপে কমিশনের কী পরিকল্পনা? ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিক কমিশন। নয়তো ২রা মে'র ভোট গণনা বন্ধ করা হোক।'
এখন জনস্বাস্থ্য অগ্রাধিকার। মানুষ বাঁচলে তবেই তো গণতিন্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হবে। এমনটাই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন ওই বিচারপতি। তৃণমূল কংগ্রেস এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। অপরদিকে, বিজেপি বলেছে দুর্ভাগ্যজনক। করোনার চেয়ে ভয়ঙ্কর তৃণমূল।
যদিও, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চিকিৎসক প্রত্যেকেই মাদ্রাজ হাই কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মন্তব্য, 'এই পদক্ষেপ আগে হলে আরও ভালো হতো।'
একদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, অন্যদিকে তীব্র দাবদাহ। এই আবহে রাজ্যের ৫ জেলার ৩৪ আসনে নির্বাচন চলছে সোমবার। কলকাতার ৪টি, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬টি, পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি, মালদহের ৬টি ও মুর্শিদাবাদের ৯টি আসনে ভোট। এদের মধ্যে হেভিওয়েট কেন্দ্র ভবানীপুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে লড়াই করছেন দলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রতিপক্ষ বিজেপি-র রুদ্রনীল ঘোষ। সপ্তম দফার ভোটে নজর কাড়ছে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র। টলিউড তারকা সায়নী ঘোষ এখানে তৃণমূলের প্রার্থী। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির নেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল।
রাজ্যের সপ্তম দফা নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের অতি সতর্কতা জারি হয়েছে। নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে মোট ৭৯৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে শুধু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৬৫৩ কোম্পানি আধাসেনা।