মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরের ডাকা আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে, তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত মহারাষ্ট্র পুলিশ। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজিপি) রজনীশ শেঠ। মসজিদে লাউডস্পিকার লাগানোর জেরে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ ঠাকরে। পালটা, মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার খোলা না-হলে, মসজিদের বাইরে বিপুল শব্দে হনুমান চালিশা চালিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে রাজ, ৪ মে, বুধবারের মধ্যে মসজিদগুলো থেকে লাউডস্পিকার খুলে নেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা রাজ্য সরকারকে দিয়েছিলেন।
গত ১ মে ঔরঙ্গাবাদে তাঁর বক্তৃতায় ওই হুমকি দিয়েছিলেন রাজ। এই হুমকির জেরে মহারাষ্ট্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই আশঙ্কা দূর করে মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি। রাজ ঠাকরের বক্তৃতা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রজনীশ শেঠ বলেন, 'যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঔরঙ্গাবাদের পুলিশ কমিশনার রাজ ঠাকরের বক্তৃতা শুনেছেন। তিনি নিজেই ব্যবস্থা নেবেন।' তবে, ব্যবস্থা নেওয়ার আগে রাজ ঠাকরেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে কি না, সেই ব্যাপারে মহারাষ্ট্র পুলিশের মহানির্দেশকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। জবাবে রজনীশ শেঠ জানান, তিনি ব্যাপারটা জানেন না। এই ব্যাপারে অতিরিক্ত কিছু জানতে হলে, মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।
আরও পড়ুন- রাজের শান্তিবাণী, ইদের জন্য নবনির্মাণ সেনার ‘মহা আরতি’ বাতিল
এই ব্যাপারে মহারাষ্ট্র পুলিশের মহানির্দেশক বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে-পাটিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একটি বৈঠক করেছেন। শান্তি কমিটি ও মহল্লা কমিটিগুলোর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করা হয়েছে। আমরা যে কোনও আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষম। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত। সমস্ত পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অগ্রিম সতর্কতা হিসেবে আমরা মহারাষ্ট্রজুড়ে ১৫ হাজার ব্যক্তিকে আটক করেছি। এই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক এবং অসামাজিক কাজের অভিযোগ ছিল। পাশাপাশি, আমরা ১৩ হাজার এই ধরনের ব্যক্তিকে আইনি নোটিসও দিয়েছি। যাতে, তারা কিছু করলেই আমরা গ্রেফতার করতে পারি। স্থানীয়স্তরে পুলিশের বিভিন্নস্তরে বহু বৈঠক হয়েছে। এসআরপিএফ এর ৮৭টি কোম্পানি এবং ৩০ হাজারেরও বেশি হোমগার্ডকে মহারাষ্ট্রজুড়ে অশান্তি রুখতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শান্তি বিঘ্নিতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Read story in English