বরখাস্তের রাস্তায় হাঁটেননি। কিন্তু, বিদ্রোহী বিধায়কদের কড়া কথা শুনিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। একনাথ শিণ্ডে শিবির "শিবসেনা বালাসাহেব" নামে কার্যক্রম শুরুর ইঙ্গিত দিতেই উদ্ধব সাফ জানিয়েছেন যে, বালাসাহেব ঠাকরের নাম ব্যবধার অন্য কেউ করতে পারবেন না। এরপরই মুখ খুললেন শিণ্ডে শিবিরের শিবসেনা বিধায়ক দীপক কেসারকর। তাঁর দাবি, এখনও বিদ্রোহীরা শিবসেনারই অংশ এবং তাঁরা দলের পৃথক ব্লক স্থাপন করতে সচেষ্ট। দীপক কেসারকর বলেছেন যে, 'আমরা অন্য কোনও দলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছি না। আমরা দলের আলাদা ব্লক তৈরি করব। আমি সবসময় মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি যে সেনার বিজেপির সঙ্গে থাকা দরকার। একজন বিজেপি প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সমন্বয়সাধন মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও পড়ুন- ব্যবধান ৪৪ বছরের, শিণ্ডের ভূমিকায় ছিলেন পাওয়ার, ফেলেছিলেন সরকার, হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
গত কয়েকদিন ধরেই শিবসেনা প্রধান বিদ্রোহীদের মুম্বইতে ফিরে তাঁর মুখোমুখি হওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, শনিবার মহারাষ্ট্রে শাসক জোটের প্রধান দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের অফিস ও বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শিবসেনার উদ্ধবপন্থীরাই এই কাজ করে। যা উল্লেখ করে দীপক কেসারকরের দাবি, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ করব। হিংসা বন্ধ করতেও আর্জি জানাচ্ছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে যতক্ষণ না পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়ায় হচ্ছে ততক্ষণ আমরা মুম্বইতে ফিরতে নিরাপদ বোধ করছি না।'
এদিকে ইতিমধ্যেই, মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার একনাথ শিণ্ডে শিবিরের ১৬ বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে পদ খারিজের নোটিশ ধরিয়েছেন। এঁরা সকলেই বর্তমানে গুয়াহাটিতে বিদ্রোহী শিবিরে রয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কেন তাঁদের পদ থাকবে তা লিখিতভাবে ১৬ বিধায়ককে ২৭ জুনের মধ্যে জানাতে হবে।