এবার দলের 'বিদ্রোহী'দের উপর পাল্টা চাপের কৌশল মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের। একনাথ শিন্ডে সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এলেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পদ ছাড়বেন বলে সাফ ঘোষণা করলেন সেনা প্রধান। 'বিদ্রোহী'দের উদ্দেশ্য করে উদ্ধাব ঠাকরে ভার্চুয়াল বার্তায় বলেছেন, 'আপনারা আমার মুখোমুখি হলেই আমি আমার পদত্যাগপত্র পেশ করব।'
এর আগে, শিবসেনার ৩৪ জন বিধায়ক একনাথ শিন্ডেকে বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে ফের বহাল করতে একটি প্রস্তাব পাস করেন। রেজোলিউশনে তারা উল্লেখ করেছে যে, 'শিবসেনা- এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠনের জন্য দলের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এই দুই দল আদর্শগতভাবে দলের বিরোধী। ফলে তাদের মেনে নেওয়া যায় না।'
উল্লেখ্য, সুরাট থেকে অসমে পৌঁছেই একনাথ শিন্ডে বলেছেন, শিবসেনার উচিত ফের বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ করে নেওয়া। বুধ বিকেলে উদ্ধব তারই পাল্টা দিলেন।
ভার্চুয়াল বার্তায় এ নিয়ে মুখ খুলেছেন উদ্ধাব ঠাকরেষ তাঁর কথায়, 'আমার কোনও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ছিল না। আমি যা করেছি তা আমার ইচ্ছায় এবং আমার বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য করেছি। কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে হাত মেলাতে হয়েছিল সময়ের প্রেক্ষিতে। মনে রাখতে হবে যে, শিবসেনা এবং হিন্দুত্বকে পৃথক করা যায় না।'
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, 'এনসিপি, কংগ্রেস বলছে যে তারা আমাকে চায় না, সেটা গ্রহণযোগ্য এবং প্রত্যাশিত। কিন্তু, আমার নিজের লোকেরা যদি আমাকে না চায়, তাহলে কী করা যায়?'
মহা বিকাশ আগাদি সরকারের মহা সঙ্কট। সরকার যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। তার মধ্যেই মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে কোভিডের জন্য ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের আলোচ্যসূচি নিয়ে আলোচনা হলেও রাজ্যের রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়নি বলেই দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, ওসমানাবাদের শিবসেনার বিধানসভার সদস্য (এমএলএ) কৈলাস পাতিল অভিযোগ করেছেন যে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের লোকেরা তাকে অপহরণ করেছিল এবং তাকে একটি গাড়িতে গুজরাটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু পাতিল মাঝপথে প্রতিবেশী রাজ্যে শিন্ডেদের ভাতা ধরে ফেলেন এবং পালিয়ে যান। নিজের যন্ত্রণার কথা উল্লেখ করেছেন শিবসেনা বিধায়ক নীতিন দেশমুখও। যিনি একনাথ শিন্ডে শিবিরে ছিলেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। দেশমুখের দাবি, তাঁকে "অপহরণ" করা হয়েছিল এবং গুজরাটের সুরাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখান থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন। তাঁর কথায়, 'শতাধিক পুলিশ এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। তাঁরা এমন ভান করেছিল যেন আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এবং জোর করে আমার শরীরে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি শুরুর চেষ্টা করেছিল।'