মুম্বইতে চলছে শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানে রয়েছেন স্বয়ং উদ্ধব ঠাকরে। বৈঠকে উদ্ধবের তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা যে, অন্য কাউকে শিবসেনা প্রদান বালাসাহেব ঠাকরের নাম ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। প্রকৃত শিবসেনা ও বালাসাহেব ঠাকরের অনুগামী কারা? তা নিয়ে তুমুল টানাপোড়েন চলছে উদ্ধব ও শিণ্ডে শিবিরের মধ্যে। এর মধ্যেই গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত একটি সভায় সেনার বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিজেদের ‘শিবসেনা বালাসাহেব গ্রুপ’ বলে অবিহিত করেন। দলীয় বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, 'বেশ কয়েকজন লোক আমাকে কিছু বলতে বলছেন। কিন্তু আমি আগেই বলেছি যে তারা (বিদ্রোহী বিধায়ক) যা খুশি তাই করতে পারে, আমি তাঁদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব না। তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারে, কিন্তু কেউ যেন বালাসাহেব ঠাকরের নাম ব্যবহার না করেন।'
ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই মুম্বইজুড়ে জারি হল ১৪৪ ধারা। আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। থানে প্রশাসন আগেই ওই জেলায় ১৪৪ ধারা লাগু করেছিল। থানে বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিণ্ডের ঘাঁটি। প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে, ৩০ জুন পর্যন্ত থানেতে যে কোনও ধরণের রাজনৈতিক মিটিং, মিছিল নিষিদ্ধ। পুলিশ ঘিরে রেখেছে একনাথ শিণ্ডের বাড়ি।
রাজনৈতিক উত্তপা ক্রমশ হিংসার আকার ধারণের পথে এগোচ্ছে। অভিযোগ, শনিবার পুণেতে শিবসেনার কর্মীরা দলের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিধায়ক তানাজি সাওয়ান্তের কার্যালয় ভাংচুর চালায়। তানাজি সাওয়ান্ত বর্তমানে অসমের গুয়াহাটিতে শিণ্ডে ক্যাম্পে রয়েছেন। পুণের শিবসেনা প্রধান সঞ্জয় মোরের হুঁশিয়ারি, 'আমাদের দলের কর্মীরা তানাজি সাওয়ান্তের অফিস ভাঙচুর করেছে। যেসব বিশ্বাসঘাতক এবং বিদ্রোহী বিধায়ক আমাদের প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে কষ্ট দিয়েছেন তাঁরা এই ধরণের পদক্ষেপের মুখোমুখি হবেন। তাদের অফিসেও হামলা করা হবে। কাউকেই রেয়াত করা হবে না।'
এদিকে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের বহিষ্কারের প্রস্তাব খারিজ হয়েছে। স্বয়ং ডেপুটি স্পিকারই প্রস্তাব খারিজ করেন। ডেপুটি স্পিকারকে বরখাস্তের প্রস্তাব জমা করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিধায়করা। তবে তাতে কোনও আসল সাক্ষর না থাকাতেই ওই প্রস্তাব খারিজ করা হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে।
টানাপোড়েনের মধ্যেই রিপাবলিকান পার্টির নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটওয়াল জানান, তাঁরা একনাথ শিণ্ডের পক্ষে রয়েছেন।