রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তিনি জানিয়েছেন, কোনও চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়া চলবে না। কারও চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়ার অধিকার নেই। কারও কথায় চলবে না। মহারাষ্ট্র আইনের পথে হাঁটবে। একদিন আগেই মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে মহারাষ্ট্র সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা না-মানলে মসজিদগুলোর বাইরে লাউডস্পিকার বসিয়ে হনুমান চালিশা শোনানো হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান।
এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে চাইলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে মসজিদগুলোর লাউডস্পিকার খুলে নিতে হবে মহারাষ্ট্র সরকারকে। তাঁর দেওয়া হুঁশিয়ারিতে এমনটাই বলেছিলেন রাজ। বৃহস্পতিবার সেই হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অজিত পাওয়ার বলেন, 'কারও চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়ার অধিকার নেই। যদি কেউ চান, তাঁরা নিজের বাড়িতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন। সময়সীমা ঠিক করে দিন। মহারাষ্ট্র আইনের পথে চলবে। প্রত্যেককে আদালতের নির্দেশ মানতে হবে।'
পাওয়ার জানান, আইন সবার জন্যই এক। আইন ভেঙে কোনওরকম অশান্তি, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আদালতের নির্দেশ সবার জন্যই প্রযোজ্য। নির্দিষ্ট কিছু দিনে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ানোর বিশেষ অনুমতি রয়েছে। কিন্তু, আইন কারও নিজের হাতে নেওয়া উচিত নয়।'
আরও পড়ুন- তাপপ্রবাহ আর সম্ভাব্য অতিবৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
এর আগে বুধবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রাজ ঠাকরে বলেন, 'মুম্বইয়ে ১,১৪০টি মসজিদ রয়েছে। যার মধ্যে ১৩৫টি মসজিদ বুধবার সকাল ৫টার আগে বা ৬টার আগে আজানের জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করেছিল। মহারাষ্ট্র সরকার নবনির্মাণ সেনার কর্মীদের আটক করছে, নোটিশ পাঠাচ্ছে, যে মসজিদগুলো অন্যায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে? যারা উচ্চস্বরে লাউডস্পিকার ব্যবহার করে আইন লঙ্ঘন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? কেন শুধুমাত্র আমাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে? আমি বলছি না যে শুধুমাত্র মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার সরানো উচিত। এগুলি মন্দির থেকেও সরানো উচিত। আমি নমাজের বিরোধী নই। কিন্তু, লাউডস্পিকার আর মাইকের দরকার কেন? আপনি কেন আমাদের আপনার প্রার্থনা শোনাচ্ছেন?'
Read story in English