মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিদ্রোহীদের চাপে ফেলতে আরও মরিয়া। এবার পাঁচ বিদ্রোহী মন্ত্রী এবং চার প্রতিমন্ত্রীর পদ কেড়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেইসব দফতর অন্যদের কাছে হস্তান্তরও করেছেন তিনি। রাজনৈতিক ডামাডোলে উন্নয়নের কাজ যাতে থমকে না যায় তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট তুঙ্গে। দলের বিদ্রোহীদের শায়েস্তা করতে অনবরত চরম হুঙ্কার দিচ্ছেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। দাবি করেছিলেন যে, শিণ্ডে শিবিরের বেশিরভাগ বিধায়কের উপরই নাকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজর রয়েছে। সেই ভয়েই বিজেপির অঙ্গুলিহিলনে কাজ করছেন তাঁরা। এ দিকে এ দিনই সুপ্রিম কোর্টে ডেপুটি স্পিকারের পাঠানো নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে শিণ্ডেদের রুজু মামলার শুনানি রয়েছে। এসবের মধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শিবসেনা সাংসদ তথা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে নোটিশ পাঠিয়েছে। মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে পাত্র চাল পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম সংক্রান্ত মামলায় আগামী ২৮ জুন তাঁকে তলব করেছে ইডি।
এরপরই শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত সোমবার বলেছেন যে তাঁর দল, 'রাস্তা এবং আইনি লড়াই'য়ের জন্য প্রস্তুত।
রবিবার সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, 'অসম থেকে ৪০টি লাশ আসবে এবং পোস্টমর্টেমের জন্য সরাসরি মর্গে পাঠানো হবে'। দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের উল্লেখ করে এ কথা বলেছিলেন সেনা মুখপাত্র। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। সোমবার যার ব্য়াখ্যা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তিনি বিদ্রোহী বিধায়কদের 'মৃত বিবেক' সম্পর্কে বলছিলেন এবং অসনে থাকা মহারাষ্ট্রের সেনা বিধায়করা এখন 'জীবন্ত লাশ'।
শিবসেনার প্রধান মুখপাত্রের ব্যাখ্যা, 'আমি কারোর অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য কিছু বলিনি। আমি শুধুমাত্র আসলটাই বলেছি। বলতে চেয়েছি যে, বিদ্রোহী বিধায়কদের বিবেক মারা গিয়েছে এবং তাঁরা সব জীবন্ত লাশ।'