রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার পদে গুলাম নবী আজাদের জায়গায় বসছেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। প্রবীণ রাজনীতিবিদকে বিরোধী দলনেতা পদে বসাচ্ছে কংগ্রেস। সংসদীয় রাজনীতি থেকে আজাদ অবসর নেওয়ার পর কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজাদের।
প্রসঙ্গত, জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবী আজাদ দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। তিনি জম্মু-কাশ্মীর থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৯ সালে কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের পর বর্তমানে সেটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই মুহূর্তে সেখানে কোনও বিধানসভা নেই। তাই আজাদের মেয়াদও শেষ হয়েছে। এদিকে, কর্ণাটকের দলিত নেতা খাড়গে ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত লোকসভার সাংসদ ছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান।
আরেক সাংসদ আনন্দ শর্মাও কংগ্রেসের নজরে ছিলেন বিরোধী দলনেতা পদের জন্য। তিনি বর্তমানে ডেপুটি নেতা রাজ্যসভায়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংও তালিকায় ছিলেন। তবে খাড়গের কপালে শিকে ছেঁড়ে। প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দীর্ঘদিনের সাংসদ গুলাম নবী আজাদ অবসর নেন সংসদীয় রাজনীতি থেকে। সেদিন তাঁর বিদায় সংবর্ধনার বিশেষ আয়োজন করেছিল রাজ্যসভা। বিদায়ী ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
জবাবী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী-সহ সরকারপক্ষের সাংসদদের ধন্যবাদ জানান তিনি। আজাদ বলেন, ‘আমি গর্বিত হিন্দুস্তানি মুসলমান বা ভারতীয় মুসলিম। দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়ার জন্য ভারতীয় সংসদকে ধন্যবাদ।’ যার হাত ধরে গুলাম নবীর সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ সেই ইন্দিরা গান্ধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।