বিরোধিতা ভুলে বহিষ্কৃত রাহুল গান্ধীর পাশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিশানায় বিজেপি। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর পরই তড়িঘড়ি টুইট করলেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই কেবল আক্রমণের মুখে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আলো করে রয়েছে সব অপরাধীরা। কিন্তু বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ক্রমশ নীচের দিকে যাচ্ছে।'
বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে জলঘোলা চলছেই। কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে রাজি নয় তৃণমূল। গত সপ্তাহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'বিজেপি রাহুল গান্ধীকে বিরোধী মুখ করতে চাইছে। যাতে নরেন্দ্র মোদীর সুবিধা হয়।' সরব হয়েছিল হাত শিবির। কিন্তু শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হতেই তাঁর পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যা কংগ্রেস, তৃণমূল সম্পর্কে নয়া মোড় আনতে পারে কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এক লাইনের টুইটে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটে অভিষেক লিখেছেন, 'গণতান্ত্রিক ভারত এখন সোনার পাথরবাটির মতোই।'
গর্জে উঠেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ সিং যাদবও। তিনি বলেছেন, 'এটা প্রথম নয়। বিজেপি প্রশাসন ও আইনের সহায়তায় সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতৃত্বের সদস্যপদ কেড়ে নিয়েছে। সকলেক মনে করতে বলব আজম খান, তাঁর পুত্র আজম খাঁর সদস্যপদ খারিজের বিষয়টি। না পারলে সমাজবাদী পার্টির বর্তমান বিধায়কদের উপর মামলা দেওয়া হচ্ছে। এবার সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীর। যে ভাষা বিজেপি নেতারা প্রয়োগ করেন তার নিয়ে তদন্ত হলে বহু বিজেপি জনপ্রতিনিধির পদ খারিজ হয়ে যাবে। মূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বের মত বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরাতেই পরিকল্পনা করে এসব করছে বিজেপি।'
সিপিআইএম সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি টুইটে লিখেছেন, 'এটা নিন্দনীয় যে বিজেপি এখন বিরোধী নেতাদের নিশানা করতে অপরাধী মানহানির পথ ব্যবহার করছে এবং তাদের অযোগ্য ঘোষণা করছে। রাহুলকে বহিষ্কারের বিষয়টি বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইডি/সিবিআই-এর চরম অপব্যবহারের চরম উদাহরণ। এই ধরনের স্বৈরাচারী হামলাকে প্রতিহত করুন এবং পরাজিত করুন।'