তৃণমূলের মিশন ত্রিপুরা। ঝটিকা সফরে প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা তৃণমূলের। অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে রোড শো ও পরে প্রকাশ্য সভায় ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক মমতার। গেরুয়া দলকে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়ে নতুন ত্রিপুরা গড়ার ডাক তৃণমূল সুপ্রিমোর। ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর বিজেপির 'অত্যাচার'-এর অভিযোগ উসকে ভোটের মুখে জোড়াফুল শিবিরকে চাঙ্গার পথ নিলেন দলনেত্রী।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। একুশের ভোটে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূলের পাখির চোখ ত্রিপুরা। পালা করে আগরতলায় এসেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এর আগে ত্রিপুরায় দলের কাজে এসে একাধিকবার হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। হামলার মুখে পড়েছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন ভোটের প্রচারে আগরতলায় এসে ফের একবার ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হওয়া আক্রমণের প্রসঙ্গ টানলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'দোলা সেন, সুস্মিতা দেবের গাড়ি ভেঙেছে। অভিষেক এসেছিল। ভাগ্যিস সেদিন ওকে একটা বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেয়। নইলে ও বেঁচে ফিরত না। আমাদের কর্মীদের মারধর করে চিকিৎসা করাতে দিত না। একটা ওষুধ পর্যন্ত দিত না। এখান থেকে কলকাতায় নিয়ে গেছি। এসএসকেএমে চিকিৎসা করিয়েছি। অভিষেক, সুস্মিতার নামে গাদাগাদা কেস দিয়েছে।'
আরও পড়ুন- পার্থ-কুন্তল চোখাচোখি, জেলের লনে কী কথা হল দু’জনের?
ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে মঙ্গলবার আগাগোড়া শাসকদল বিজেপিকে আক্রমণের পথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ত্রিপুরাবাসীর সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে বলে মনে করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এছাড়াও এদিন তৃণমূলনেত্রীর আক্রমণের মুখে পড়েছে বাম-কংগ্রেসও। তাঁর কথায়, 'বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস তিন জন মিলে বাংলায় আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আগের বার এখানে সিপিএমের কমরেডরা বিজেপি হয়ে গিয়েছিলেন। এখন আবার তারা সিপিএম। ত্রিপুরায় স্কুলশিক্ষক, সরকারি কর্মীদের আন্দোলন করতে দেয় না। এখন নির্বাচন কমিশন দেখছে বলে হয়তো মিটিংটা করতে পারছি।'
আরও পড়ুন- মমতার সিঙ্গল ইঞ্জিন মডেল আসলে কী? বাংলার উদাহরণ টেনে ত্রিপুরাবাসীকে বোঝালেন শুভেন্দু
এছাড়াও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাঁঝালো আক্রমণের মুখে পড়েছে ইডি-সিবিআই। কেন্দ্রের শাসকদলকে এব্যাপারে নিশানা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে ঘরে ইডি-সিবিআই ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আদার ব্যাপারিরা দেশ চালাচ্ছে। নোটবন্দিতে কালো টাকা পার্টিতে ঢুকে গেছে।'