শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের পতনের প্রহর যেন ক্রমেই গাঢ় হচ্ছে। বিদ্রোহীদের নেতা একনাথ শিণ্ডের দাবি তাঁর সঙ্গে ৪৯ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। উদ্ধব মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছাড়লেই আলোচনায় রাজি তিনি। পাল্টা সেনা মুখপাত্র বলেছেন, বিদ্রোহীদের বেশিরভাগই ইডির নজরে ছিলেন। তাই তদন্ত থেকে বাঁচতেই বিদ্রোহ শিণ্ডেদের। মুখে কিছু না বললেও মহাবিকাশ আগাড়ি জোটের বড় শরিক শিবসেনার সঙ্কটকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে পদ্ম বাহিনী। সঙ্গে তলে তলে চলছে অঙ্কের হিসাবও। এসব নিয়েই বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মুখ খুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisment
নাম না করলেও আরব সাগরের তীরের রাজ্য়ে রাজ্য সরকারের এই সংকটকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরোটাকেই 'গণতন্ত্রের বুলডোজ' বলে মন্তব্য করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'গতন্ত্রকে বুলডোজ করা হচ্ছে। অনৈতিকভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনতে চাইছে। গনতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিজেপি সরকার ভেঙে ফেলেছে। অসাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি। আপনারা ক্ষমতায় আছেন, শক্তি আছে তাই ইডি, সিবিআই আর অর্থবল প্রয়োগ দিয়ে রাজ্যের নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেবেন? আমি বলছি এমন করবেন না। আপনাদেরও সময়ের নিয়মেই ক্ষমতা থেকে সরতে হবে। তখন তো আপনাদের দলও এভাবেই ভাঙবে। তখন কী হবে? মহারাষ্ট্র সরকারের ন্যায্য বিচার চাই।'
Advertisment
পাশাপাশি মমতার প্রশ্ন, 'বিজেপি বিপুল অ্থ দিচ্ছে, এটা এক ধরণের হাওলা নয়, এটা বড় দুর্ণীতি নয়? কেন্দ্রের শাসক দল মানুষের টারা লুঠছে। বিধায়কদের কিনতে কেন্দ্র কেন অসম সরকারকে ব্যবহার করছে? পারলে ওদের বাংলায় পাঠান। আমরা আথিথেয়তা করব। গণতন্ত্রও আমরা সুরক্ষিত রাখব।'
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের আবেদনে সাড়া দেননি 'বিদ্রোহী' একনাখ শিণ্ডে। উল্টে তাঁর কাছে ৪৯ জন বিধায়কের সমর্থন আছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এর বেশিরভাগই আবারও শিবসেনার। ফলে সংকট আরও বেড়েছে। ক্রমেই সেই আঁচ উপলোব্ধি করছেন শেনা প্রধান। ফলে বুধবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছেড়েছেন তিনি।
এর মধ্যেই সর্বভারতীয় ভারতীয়স্তরে বিরোধী জোট নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তার শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে চালিয়ে ব্যাটিং রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যবাহী।