রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, 'বিজেপি আগে প্রার্থীর নাম জানালে বিবেচনা করে দেখতাম। বৃহত্তর স্বার্থে বিরোধী দলগুলি বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারত। সর্বসম্মত প্রার্থী হলেও ভাল হত।'
রাষ্ট্রপতি ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তাতে অবশ্য সমর্থন নেই বিরোধী ১৮টি দলের। আসন্ন রাষ্ট্রপতি ভোটে বিরোদীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। মূলত তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই বিরোধী দলগুলি রাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছাই করতে একজোট হয়েছিল। ২১ জুন বিরোধীদের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে যশবন্তকেই রাইসিনার লড়াইতে মনোনিত করা হয়।
এরপর সেদিন কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এনডিএ শিবিরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। রাষ্ট্রপতি ভোটের লড়াইয়ে প্রার্থী করা হয় ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের আদিবাসী দ্রৌপদী মুর্মুকে। বিজেপির বিরোধী হলেও আদিবাসী প্রশ্নে তাকে সমর্থন জানিয়েছে ঝাড়খণ্ডের শাসক জোট কংগ্রেসের বন্ধু জেএমএম। সমর্থন করছে বিজেডি। অঙ্কের হিসাবে দ্রৌপদীর রাইসিনার যাওয়ার পথ পাকা। স্বাধীনতার সাত দশক পর দ্রৌপদী মুর্মুই হবেন দেশের প্রথন আদিবাসী রাষ্ট্রপতি।
কেন দ্রৌপদীকে নয়, যশবন্তকে সমর্থন করছে তৃণমূল? এ নিয়ে গত কয়েকদিনে অহরহ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। অন্যদিকে, জোড়া-ফুল শিবির যে আদিবাসী বিরোধী সে কথাই বারে বারে তুলে ধরছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহলে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'আদিবাসী-মূলবাসীদের পাশে রয়েছে একমাত্র বিজেপি-ই।'
এসবের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে এ দিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'বিজেপি আগে প্রার্থীর নাম জানালে বিবেচনা করে দেখতাম। বৃহত্তর স্বার্থে বিরোধী দলগুলি বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারত। সর্বসম্মত প্রার্থী হলেও ভাল হত। এখন বিরোধীরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি সেটাই মানব। মাঝখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না। আমরা ভাগাভাগি করি না। আদিবাসী, দলিত সকলেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।'
দ্রৌপদী মুর্মু জয়ের সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, 'মহারাষ্ট্রের সরকার বদলের পর ওদের (বিজেপি) শক্তি বেড়েছে। তাই দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।'
মমতার এ দিনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, 'ওার উপর হয়তো বিজেপির চাপ আছে। তাই উনি ভোলবদল করছেন। আমরা নীতির প্রশ্নে এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপার্থীর বিরুদ্ধে।' বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'উনি জানেন যে ওনাদের প্রার্থী হারবেন। তাই ওনারই আগে কথা বলা উচিত ছিল।'
আরও পড়ুন- পদ্ম নজরে ২০২৪, বিজেপির নয়া প্রচার ‘পরিবারতন্ত্র মুক্ত ভারতীয় রাজনীতি’
'এগিয়ে দ্রৌপদীই, আগে বললে ভাবতাম', রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মমতার
রাষ্ট্রপতি ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তাতে অবশ্য সমর্থন নেই বিরোধী ১৮টি দলের। আসন্ন রাষ্ট্রপতি ভোটে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা।
Follow Us
রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, 'বিজেপি আগে প্রার্থীর নাম জানালে বিবেচনা করে দেখতাম। বৃহত্তর স্বার্থে বিরোধী দলগুলি বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারত। সর্বসম্মত প্রার্থী হলেও ভাল হত।'
রাষ্ট্রপতি ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তাতে অবশ্য সমর্থন নেই বিরোধী ১৮টি দলের। আসন্ন রাষ্ট্রপতি ভোটে বিরোদীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। মূলত তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই বিরোধী দলগুলি রাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছাই করতে একজোট হয়েছিল। ২১ জুন বিরোধীদের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে যশবন্তকেই রাইসিনার লড়াইতে মনোনিত করা হয়।
এরপর সেদিন কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এনডিএ শিবিরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। রাষ্ট্রপতি ভোটের লড়াইয়ে প্রার্থী করা হয় ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের আদিবাসী দ্রৌপদী মুর্মুকে। বিজেপির বিরোধী হলেও আদিবাসী প্রশ্নে তাকে সমর্থন জানিয়েছে ঝাড়খণ্ডের শাসক জোট কংগ্রেসের বন্ধু জেএমএম। সমর্থন করছে বিজেডি। অঙ্কের হিসাবে দ্রৌপদীর রাইসিনার যাওয়ার পথ পাকা। স্বাধীনতার সাত দশক পর দ্রৌপদী মুর্মুই হবেন দেশের প্রথন আদিবাসী রাষ্ট্রপতি।
কেন দ্রৌপদীকে নয়, যশবন্তকে সমর্থন করছে তৃণমূল? এ নিয়ে গত কয়েকদিনে অহরহ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। অন্যদিকে, জোড়া-ফুল শিবির যে আদিবাসী বিরোধী সে কথাই বারে বারে তুলে ধরছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহলে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'আদিবাসী-মূলবাসীদের পাশে রয়েছে একমাত্র বিজেপি-ই।'
এসবের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে এ দিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'বিজেপি আগে প্রার্থীর নাম জানালে বিবেচনা করে দেখতাম। বৃহত্তর স্বার্থে বিরোধী দলগুলি বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারত। সর্বসম্মত প্রার্থী হলেও ভাল হত। এখন বিরোধীরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি সেটাই মানব। মাঝখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না। আমরা ভাগাভাগি করি না। আদিবাসী, দলিত সকলেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।'
দ্রৌপদী মুর্মু জয়ের সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, 'মহারাষ্ট্রের সরকার বদলের পর ওদের (বিজেপি) শক্তি বেড়েছে। তাই দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।'
মমতার এ দিনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, 'ওার উপর হয়তো বিজেপির চাপ আছে। তাই উনি ভোলবদল করছেন। আমরা নীতির প্রশ্নে এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপার্থীর বিরুদ্ধে।' বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'উনি জানেন যে ওনাদের প্রার্থী হারবেন। তাই ওনারই আগে কথা বলা উচিত ছিল।'
আরও পড়ুন- পদ্ম নজরে ২০২৪, বিজেপির নয়া প্রচার ‘পরিবারতন্ত্র মুক্ত ভারতীয় রাজনীতি’