বিহারে পদ্মের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন নীতীশ কুমার। আপাতত তাঁকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন তাড়ব জেডিইউ নেতা, কর্মীরা। মোদীর পাল্টা নীতীশকেই বিরোধী শিবিরের নেতা হিসাবে তুলে ধরতে মরিয়া বিহারের শাসক জোটের এই দল। বিহার ছাড়াও উত্তর পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যে জেডিইউ বিধায়ক রয়েছেন। ফলে জাতীয় দলের তরমা পাওয়ার আশায় নীতীশ কুমারের দল। কিন্তু, আপাতত বিজেপির পদক্ষেপে সেই স্বপ্ন ভাঙার উপক্রম।
জেডুইউ এনডিএ জোট ছাড়তেই ঘর গুছোতে শুরু করেছে গেরুয়া বাহিনী। শুক্রবারই মণিপুরে ৫ জন জেডিইউ বিধায়ক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। যা নিয়েই একদা দুই বন্ধু দলের মধ্যে প্রবল বিতণ্ডা। জেডিইউ সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং দল ভাঙানোর বিষয়টিকে 'ধন-বল' রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেছেন। তার কথায়, 'আগে দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে যা করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি, সেটাই হয়েছে মণিপুরে।' তবে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের সময় বিধায়কদের দলববদলের খবরে বিব্রত জেডিইউ নেতৃত্ব।
জেডিইউ সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং অবশ্য বিজেপির পদক্ষেপকে অন্যভাবে দেখছেন। তাঁর চ্যালেঞ্জ, "বিজেপি যত কৌশলই করুক না কেন, ২০২৩ সালের মধ্যে জেডিইউ-কে জাতীয় দল হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না'
কিছুটা সুর চড়িয়েই নীতীশের গত চার দশকের বন্ধু তথা জেডিইউ সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং বলেছেন, 'মণিপুরে বিজেপি কি নৈতিক আচরণ করছে? তা সকলের সামনে রয়েছে। আপনাদের মনে থাকা উচিত যে ২০১৫ সালে বিহারে প্রধানমন্ত্রীজী ৪২টি সভা করেছিলেন, তারপরও মাত্র ৫৩ টি আসনে জয়লাভ করা সম্ভব হয়েছিল। ২০২৪ সালে দেশ জুমলাবাজি থেকে মুক্তি পাবে। শুধু অপেক্ষা করুন।'
মণিপুরে জেডুইউ বিধায়কদের দলবদলের পরপরই এই বিতর্কের প্রেক্ষাপট তীব্র হয়েছিল। শুক্রবার বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা নীতীশ কুমারের একসময়ের বন্ধ হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন যে, 'অরুণাচল প্রদেশের পর এবার মণিপুরও জেডিইউ মুক্ত। খুব তাড়াতাড়ি লালুজী বিহারকেও জেডিইউ মুক্ত করবেন।'
এর জবাবে রাজীব রঞ্জন সিং দাবি করেন, 'সুশীল মোদীজী, আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুরে জেডিইউ বিজেপিকে হারিয়েই আসন জয় করেছিল। তাই জেডিইউ থেকে মুক্তি পাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন।'